গভীর নলকূপ দিয়ে গ্যাস, পানি ও বালু বের হওয়া বন্ধ হয়েছে

তৃতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার রাতে গভীর নলকূপ দিয়ে গ্যাস, পানি ও বালু বের হওয়া বন্ধ হয়েছে । ছবি: প্রথম আলো
তৃতীয় দিনে গতকাল শুক্রবার রাতে গভীর নলকূপ দিয়ে গ্যাস, পানি ও বালু বের হওয়া বন্ধ হয়েছে । ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার বায়েক ইউনিয়নের শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে গভীর নলকূপ দিয়ে দ্রুতগতিতে গ্যাস, বালু ও পানির মিশ্রণ বের হওয়া বন্ধ হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে গতি কমতে থাকে। রাত ৯টার পর থেকে সম্পূর্ণ ভাবে প্রবাহ বন্ধ হয়। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি গত তিনদিনে প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েক ইউনিয়নের সালদা গ্যাস ক্ষেত্র সংলগ্ন শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ের মাঠে একটি গভীর নলকূপ বসানোর সময় নলকূপের পাইপ দিয়ে গত বুধবার সকাল আটটা থেকে দ্রুত গতিতে গ্যাস, বালু ও পানি বের হতে শুরু করে।

প্রচণ্ড বেগে নিচ থেকে গ্যাস,বালু এবং পানি ওঠার কারণে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর ও দুটি গাছ ভেঙে গেছে। শহীদ মিনারটি ধসে মাটির সঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ের একটি ভবন অর্ধেক বালির নিচে চলে গেছে। অপর একটি ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বুধবার রাতে পেট্রোবাংলা থেকে চার সদস্যের একটি কারিগরি দল কসবায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর সেসব নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। তারা জানিয়েছিলেন ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজে নিজে গ্যাস, বালু ও পানির বের হওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বন্ধ না হওয়া পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আল-মামুন ভূইয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যালয়ের কমপক্ষে ৫০ লক্ষাধিক টাকার পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ছিল। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ মেরামত করে শিগগিরই পাঠদান শুরু হবে।

স্থানীয় সাংসদ ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ শনিবার বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানে গ্যাস পাওয়া যাবে কি না, প্রাথমিক অনুসন্ধানের ব্যবস্থা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, পেট্রো বাংলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের তালিকা পাঠানো হলে পেট্রোবাংলা তা দেবে।