মাকে হত্যার পর ছেলে থানায়, আদালতে স্বীকারোক্তি

বগুড়ায় মাকে গলায় সুতা পেঁচিয়ে হত্যার পর থানায় গিয়ে নিজেই পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন ছেলে। প্রথমে পুলিশ বিষয়টি আমলে না নিলেও পরে তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ছেলে।

রোববার বগুড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুল হকের আদালতে মা সোনিয়া চৌহানকে (৬৫) হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন ছেলে গোপাল চৌহান (১৯)। গোপাল বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া এলাকার জগদীশ চৌহানের ছেলে।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে গোপাল বলেন, নানা কারণে মায়ের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাত দশটার দিকে নিজ ঘরে গলায় সুতা পেঁচিয়ে মাকে হত্যা করেন তিনি। পরে সকালে নিজেই বগুড়া সদর থানায় গিয়ে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ৭ ফেব্রুয়ারি গোপাল চৌহান থানায় এসে মাকে হত্যার কথা জানান। প্রথমে পুলিশ তা আমলে নেয়নি। কিন্তু গোপাল বারবার একই কথা বলায় পুলিশের সন্দেহ হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাঁকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে তাঁর মা সোনিয়া চৌহানের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা হলে গোপালকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং বগুড়া সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালত গোপালকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।