বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত শীর্ষ ডাকাত নিহত: র‍্যাব

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তালিকাভুক্ত শীর্ষ ডাকাত নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদার নুরালিপাড়ার পাহাড়ের পাদদেশে বন্দুকযুদ্ধের এই ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ নুরুল আমিন ওরফে আমিন ডাকাত (৩০)। আমিন লেদার নুরালিপাড়ার বাসিন্দা মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি ডাকাত দল নুরুল আমিন বাহিনীর প্রধান ছিলেন।

র‍্যাব কক্সবাজার-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও সিপিসি টেকনাফ-১ কোম্পানির কমান্ডার লেফটেন্যান্ট (বিএন) মীর্জা শাহেদ মাহাতাবের ভাষ্য, লেদার নুরালিপাড়া পাহাড়ের পাদদেশে একদল ডাকাতের অবস্থান করছে বলে তথ্য পায় র‍্যাব। গতকাল রাতে র‍্যাব সেখানে অভিযানে যায়। ছয়-সাতজন অস্ত্রধারী ডাকাত র‍্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে র‍্যাবের দুজন সদস্য আহত হন। এ সময় আত্মরক্ষায় র‍্যাব পাল্টা গুলি ছোড়ে। ডাকাতেরা গুলি করতে করতে গভীর জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নুরুল আমিনকে উদ্ধার করা হয়। তাঁকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শোভন দাস প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে র‍্যাব তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সাধারণ পোশাকের একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। তাঁর শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। র‍্যাবের দুই সদস্যকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

র‍্যাবের ভাষ্য, ঘটনাস্থল থেকে একটি থ্রি-কোয়ার্টার গান, একটি ওয়ান শুটারগান, চারটি তাজা কার্তুজ, তিনটি কার্তুজের খালি খোসা, একটি মানিব্যাগ, নগদ ১০০ টাকা, একটি মুঠোফোন, ১১টি মিয়ানমারের (এমপিটি) সিম কার্ড ও একটি টেলিটক সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

র‍্যাব কক্সবাজার-১৫-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট মীর্জা শাহেদ মাহাতাব বলেন, নিহত নুরুল আমিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকাভুক্ত ডাকাত দলের প্রধান ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অপহরণ, ডাকাতি, নারী নির্যাতনসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।