ডাকসুর তহবিল থেকে এক টাকাও তুলতে পারেননি ভিপি নুরুল

ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। ফাইল ছবি
ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বার্ষিক বাজেট থেকে নিজের জন্য বরাদ্দ থাকা পাঁচ লাখ টাকার এক টাকাও তুলতে পারেননি সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক। তাঁর অভিযোগ, ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী ও সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেনের ‘অদৃশ্য প্রভাবের’ কারণে টাকা উত্তোলনের আবেদন করেও তিনি তা পাননি। তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ জিএস ও এজিএস।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) বার্ষিক বাজেট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ডাকসুর চতুর্থ কার্যনির্বাহী সভা উপলক্ষে গত শনিবার সংগঠনের প্রশাসনিক শাখা ৯ মাসের ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা যায়, বাজেটের ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার মধ্যে ৯ মাসে ৮৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৪ টাকা উত্তোলন করেছেন ডাকসুর ২৫টি পদে থাকা নেতারা। তবে সেখানে ভিপি নুরুলের নামে কোনো হিসাব নেই।

ভিপি নুরুল হক গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘তিনটি চিঠিতে আমি ৪০ হাজার টাকা চেয়ে আবেদন করেছিলাম। এর মধ্যে কবি সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীদের র‌্যাগ ডে উদ্‌যাপনের জন্য ১০ হাজার, শামসুন নাহার হলের একজন অ্যাথলেটকে একটি রেসিং সাইকেল কেনার জন্য ১০ হাজার এবং একটি শিক্ষাসফরে বরাদ্দের জন্য আরও ২০ হাজার টাকা চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। জিএস ও এজিএসের অসহযোগিতা ও অদৃশ্য প্রভাবের কারণে আমার আবেদনটি গ্রহণ করা হয়নি বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি। ডাকসুতে ছাত্রলীগের সিদ্ধান্তেই সব হয়।’

তবে ডাকসুর কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলছেন, ভিপি নুরুল হক টাকা চেয়ে পাননি—এমন ঘটনা তাঁর জানা নেই। এক ছাত্রীকে (অ্যাথলেটও) রেসিং সাইকেল কিনে দিতে যে টাকা চেয়েছিলেন নুরুল, তা তাঁর ‘ব্যক্তিগত বিষয়’। তিনি বলেন, ডাকসুর টাকা শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক কল্যাণে ব্যয় হবে, ব্যক্তিগতভাবে কারও জন্য এই টাকা খরচ করা যায় না।

ডাকসুর এজিএস ও ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেন তাঁদের বিরুদ্ধে ভিপি নুরুলের করা অসহযোগিতা ও ‘অদৃশ্য প্রভাবের’ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নুরুলের ওই অভিযোগ বালখিল্য আচরণ ছাড়া আর কিছু নয়।’

ডাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটির মেয়াদ ৩৬৫ দিন। গত বছরের ২৩ মার্চ দায়িত্ব নেওয়া বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হতে আর বাকি ৪৩ দিন।

ডাকসুর পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও পদাধিকার বলে ডাকসুর সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।