চীন থেকে আপাতত শিক্ষার্থীদের ফিরতে হবে নিজ খরচে

জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: ইউএনবি
জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: ইউএনবি

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চীনের উহানে অবস্থানরত বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আপাতত সরকারিভাবে ফেরানো হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীরা ব্যক্তিগত খরচে চাইলে দেশে ফিরতে পারেন।

আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানান। তিনি এদিন সকালে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী এবং নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

চীনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফেরানোর বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, প্রশ্ন হচ্ছে আমরা প্লেন পাঠিয়ে ওদের আনব কি-না, জনগণের টাকা খরচ করে ওদেরকে আনব কি-না । আমরা খুব সংবেদনশীল, তাঁদের বাবা-মা অনেকে বলছেন তাঁদেরকে নিয়ে আসার জন্য। আমরা তাঁদের বলেছি, আপনারা যদি নিয়ে আসেন, আমাদের কোনো আপত্তি নাই। তাঁরা আসলে আসতে পারে। 

চীনে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যেসব বাবা-মা যোগাযোগ করেছেন, তাদের সন্তানদের নিজ উদ্যোগে দেশে ফেরানোর কথা বলা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বলেছি আপনারা যদি আনতে চান… দেখেন আমরা এখনো ফ্লাইট ক্যানসেল করিনি । বিশেষ করে কুনিমং এবং গুয়াংজু থেকে চায়নিজ ফ্লাইট আসছে।’

উহান থেকে প্রথম দফায় ফেরা বাংলাদেশিদের কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা না গেলেও সতর্কতার অংশ হিসেবে তাদের ১৪ দিন আলাদা করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে । এদের বেশির ভাগ রয়েছেন আশকোনার হজ ক্যাম্পে, বাকিরা হাসপাতালে।

চীনে আটকে থাকা বাকি ১৭১ জনকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে টাকাই একমাত্র সংকট কি না, জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘অবশ্যই না। এরা যদি হজ ক্যাম্প থেকে বের না হয়, বাকিদের কোথায় রাখব? আমরা বলেছি, তোমরা যদি আসতে চাও, অবশ্যই আমরা চেক করে, কোয়ারেন্টাইনে পৌঁছে দেব।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়ে যারা আছে, তারা অভিযোগ করেছে, তাদের নাকি খাবার দেওয়া হয় না । কিন্তু আমরা তথ্য নেওয়ার পর দেখেছি, চীনারা জানিয়েছে তাদেরকে পানি দেয়, খাবার দেয়, যথাসময়ে পৌঁছে দেয়। চীনের দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে তাদের দেখভাল করার জন্য। ওখানে তারা মোটামুটি ভালো আছে।’