সেই ১৭ চীনা নাবিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

ভাঙার জন্য স্ক্র্যাপ জাহাজ নিয়ে বাংলাদেশে আসা সেই ১৭ চীনা নাবিককে চীনের উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে তাঁদের মাইক্রোবাসে করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের লালবেগ সাগর উপকূল থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় ও কারখানা কর্তৃপক্ষ।

কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০ জানুয়ারি ইউনি হারভেস্ট নামে নয় হাজার মেট্রিক টন ওজনের একটি স্ক্র্যাপ জাহাজ চীনের উইফং বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হয়। জাহাজটি গত শনিবার বিকেলে উপজেলার লালবেগ শিপব্রেকিং ইয়ার্ড নামে একটি জাহাজ ভাঙা কারখানায় ভেড়ান ওই ১৭ চীনা নাবিক। এরপর থেকে চীনা নাবিকেরা স্ক্র্যাপ জাহাজটিতে অবস্থান করছিলেন।

জাহাজভাঙা কারখানাটির মালিক আবুল কাশেম আবদুল্লাহ বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজটি বহির্নোঙরে আসার পর বন্দর কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের মাধ্যমে ওই ১৭ নাবিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পরে জানানো হয়, নাবিকেরা করোনাভাইরাস আক্রান্ত নন। এ ছাড়া গত ১৪ দিনেও নাবিকদের করোনাভাইরাস ধরা না পড়ায় তাঁরা সুস্থ বলে ধরে নেওয়া হয়।

আবুল কাশেম আবদুল্লাহ আরও বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ার পর তাঁরা স্ক্র্যাপ জাহাজটি কারখানায় ভেড়ান। কিন্তু অনুমতি না থাকায় ১৭ চীনা নাবিককে উপকূলের ভূখণ্ডে নামতে দেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, নাবিকদের কারখানা থেকে মাইক্রোবাসে করে শাহ আমানত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। একটি বিমানে করে প্রথমে ব্যাংকক যাবেন তাঁরা। এরপর চীনে পৌঁছাবেন।

ইউএনও মিল্টন রায় বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ আজ নাবিকদের চীনের উদ্দেশে ফেরত পাঠিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে। দূতাবাসের মাধ্যমে অনুমতি পাওয়ার পর তাঁদের নিজ দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।