প্রেমের টানে দেশ ছেড়েছেন নেপালি তরুণী সানজু

নেপালি স্ত্রীর সঙ্গে নাজমুল।  ছবি: প্রথম আলো
নেপালি স্ত্রীর সঙ্গে নাজমুল। ছবি: প্রথম আলো

প্রেমের টানে নেপাল থেকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে এসেছেন সানজু কুমারী খাত্রী নামের এক তরুণী। উপজেলার কাঁকড়াজান ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের হুমায়ুন কবিরের প্রবাসী ছেলে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তাঁর নাম রাখা হয়েছে খাদিজা আক্তার।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সানজু কুমারী (২০) প্রায় চার বছর ধরে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে কাজ করার সময় নাজমুলের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১ ফেব্রুয়ারি তাঁরা বাংলাদেশে আসার পর ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের আদালতে গিয়ে বিয়ে করেন।

কাঁকড়াজান ইউনিয়নের নিকাহ নিবন্ধনকারী (কাজি) শফিউল ইসলাম বলেন, তাঁরা নেপালের আদালতেও বিয়ে করেছেন। ৩ ফেব্রুয়ারি  তিন লাখ টাকা দেনমোহর সাব্যস্ত করে ছেলের অভিভাবকের উপস্থিতিতে তাঁদের কাবিন হয়।

নাজমুলের বাবা হুমায়ুন কবির জানান, তাঁর ছেলের বউ খাদিজা বাঙালি নারীর মতো বাড়িতে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছেন। তবে তাঁর ভাষা নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। বাংলা ভাষা স্পষ্ট করে বলতে পারেন না। ফলে তাঁদের বুঝতে একটু অসুবিধা হয়।

নাজমুল হোসেন বলেন, নেপালের কাঠমান্ডু শহরেই তাঁর স্ত্রীর বাড়ি। সেখান থেকে পারিবারিক সম্পর্ক ছিন্ন করে মেয়েটি তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশে চলে এসেছেন।

সানজু কুমারী বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও গ্রাম্য পরিবেশ তাঁর কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাজমুলকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। তিনি আর নেপালে ফিরে যাবেন না।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এইচ এম লুৎফুল কবির জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নেপালি মেয়ের সখীপুরে আসার খবরটি তাঁরা জেনেছেন।