আকাশে উড়ছে অজগর, হাঙর, ডলফিন ...

কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন তরুণীরা। গতকাল বিকেলে।  প্রথম আলো
কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ঘুড়ি ওড়াচ্ছেন তরুণীরা। গতকাল বিকেলে। প্রথম আলো

ফাল্গুনের বিকেল। সোনালি রোদে উত্তরের হাওয়ায় কক্সবাজার সৈকতের আকাশে উড়ছিল অজগর, হাঙর, ডলফিন, জেলিফিশসহ নানা প্রাণী। এদের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে লাগছিল মারামারি-কাটাকাটি। একে–অপরকে ঘায়েল করার প্রতিযোগিতা। বালুচরে দাঁড়িয়ে আকাশে এই দৃশ্য উপভোগ করছিলেন কয়েক শ পর্যটক। গতকাল রোববার বিকেলে কক্সবাজার সৈকতে ঘুড়ি উৎসবকে ঘিরে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল। 

সৈকতের লাবণি পয়েন্টে গতকাল বিকেল চারটায় ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. জিললুর রহমান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী এই ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশন ও ঢাকাবাসী। এটি তাদের ১১তম আসর। 

তবে যেমন জমজমাট উৎসব আশা করা হয়েছিল, তেমনটা হয়নি। বিকেলে সৈকতে গিয়ে দেখা গেছে, অজগর সাপের আদলে তৈরি ঘুড়ি ওড়াচ্ছিলেন এক তরুণী। আরেকটি ড্রাগন ঘুড়ির সঙ্গে কাটাকাটি চলছিল অজগরের। মুহূর্তে ড্রাগনের পতন হয়। উপস্থিত নারী-শিশুরা সাপ-ড্রাগনের কাটাকাটির লড়াই মনভরে উপভোগ করেন। 

ঢাকার বনানী থেকে আসা গৃহবধূ সানজিদা আকতার (৪৭) বলেন, ‘গত ২৫ বছরে ঘুড়ি ওড়ানোর সুযোগ পাইনি। আজ মুক্ত আকাশে ঘুড়ি ওড়াচ্ছি-মজা পাচ্ছি।’ 

ঢাকাবাসী ও বাংলাদেশ ঘুড়ি ফেডারেশনের সভাপতি মো. শুকুর সাদেক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘুড়ি ওড়ানোর পূর্বশর্ত হচ্ছে বাতাস। এই সৈকতে তা রয়েছে। আমরা সৈকত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দাবিতে এ উৎসবের আয়োজন করেছি। এর আগে এ সৈকতে আমরা ঘুড়ি উৎসব করেছি।’ 

শুকুর সাদেক বলেন, এবারের উৎসবে বিদেশি ৩১সহ ৭০ প্রকারের ঘুড়ি আকাশে উড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে অজগর, প্রজাপতি, ড্রাগন, জেলিফিশ, বাঘ, ডলফিন, জাপানি ঘুড়ি পঙ্খিরাজ, ইগল দর্শকদের মুগ্ধ করে। 

পরে উপস্থিত শিশুদের মধ্যে বিনা মূল্যে ঘুড়ি বিতরণ করা হয়।