পিরোজপুরে পাসপোর্ট করতে গিয়ে রোহিঙ্গা যুবক গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা যুবক জামাল। ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো
গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা যুবক জামাল। ভান্ডারিয়া, পিরোজপুর, ১৬ ফেব্রুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো

পিরোজপুরে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে গিয়ে মো. জামাল (২১) নামের এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় তাঁকে ভান্ডারিয়া উপজেলা সদর থেকে আটক করা হয়। আজ সোমবার তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।

মো. জামাল মিয়ানমারের রাখাইন জেলার ডেমিনা থানার রাম্যখালী গ্রামের মৃত আমির হোসাইনের ছেলে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে পিরোজপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে মো. জামাল পাসপোর্টের আবেদন জমা দিতে যান। তিনি তাঁর পিতার মো. মিজান শিকদার, মাতা শাহিনুর বেগম, গ্রাম ভান্ডারিয়া, ২ নম্বর ওয়ার্ড, থানা ভান্ডারিয়া, জেলা পিরোজপুর ঠিকানা ব্যবহার করে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদনপত্র জমা দেন। যাচাই–বাছাইয়ের সময় মো. জামালের আঙুলের ছাপ নিয়ে জানা যায় তিনি মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিক। তাঁর রিফিউজি নম্বর ১৩২২০১৮০১২০১৪৫৮৫২। তিনি ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন। পরে পাসপোর্ট করতে না পেরে ভান্ডারিয়ায় চলে যান।

পিরোজপুর পাসপোর্ট অফিসের উপসহকারী পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, ওই যুবকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার সময় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তথ্য বেরিয়ে আসে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সদুত্তর না দিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।

খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাঁকে ভান্ডারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে। জামাল ভান্ডারিয়ার ওই ঠিকানা ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র করেছেন। নাগরিক সদনও সংগ্রহ করেছেন। আজ সোমবার সকালে পিরোজপুর সদর থানায় জামালকে আসামি করে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হাচনাইন পারভেজ বলেন, জামালের মা–বাবা রাখাইনে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ও দুই ভাই, তিন বোন কক্সবাজারের বালুখালী ক্যাম্পে অবস্থান করছেন।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুল হক বলেন, আজ দুপুরে জামালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অসাধু কর্মচারীদের মাধ্যমে তাঁরা (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র বানাচ্ছেন।