খালেদা জিয়াকে সরকার কীভাবে মুক্তি দেবে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি সরকারের হাতে নেই বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা। সরকার কীভাবে মুক্তি দেবে? যদি, রাজনৈতিক মামলা হতো তাহলে রাজনৈতিক বিবেচনায় মুক্তির প্রশ্ন ছিল।

আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের খুলনা বিভাগীয় অঞ্চলের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুল ফোনে আমাকে অনুরোধ করেছিলেন যেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কথা বলি। ব্যাপারটি এখন মির্জা ফখরুল অস্বীকার করলে তা প্রমাণ করারও সুযোগ রয়েছে। তিনি আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, সেটার রেকর্ড আছে। তিনি বলেন, অসত্য কথা কেন বলব। তিনি আমাকে অনুরোধ করেছেন। তিনি কি প্রমাণ করতে চান যে তিনি অনুরোধ করেননি। তাহলে কিন্তু প্রমাণ দিয়ে দেব। কারণ, টেলিফোনে যে সংলাপ, এটা তো আর গোপন থাকবে না। এটা বের করা যাবে। ফোনে কথা বলবে এটা কি গোপন রাখা যাবে। এটার রেকর্ড আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফখরুল সাহেব ঝানু রাজনীতিক হতে পারেন কিন্তু চিকিৎসক না। চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। চিকিৎসকেরা বলছেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা বার্ধক্যের কারণে যে অবস্থানে থাকার কথা, সেই অবস্থানে তাঁর শারীরিক অবস্থা রয়েছে। কিন্তু ফখরুল সাহেব একবার বলেন তাঁর অবস্থা খারাপ, আবার বলেন মানবিক কারণে মুক্তি দেওয়ার কথা।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনৈতিক ইস্যু তৈরির চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়ার মুক্তি নিয়ে জনবিস্ফোরণের চেষ্টা করছে বিএনপি। আসলে বিএনপি সবকিছুতেই রাজনীতি করতে চায় তাই তাদের দলের নেত্রীর মুক্তি নিয়েও রাজনীতি করছে।’

মুজিব বর্ষ উদ্‌যাপনের নামে কোনো ধরনের বাড়াবাড়ি বা চাঁদাবাজি যাতে না হয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে মুজিব বর্ষ পালন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরতে হবে। সামান্য ভুলে বিরোধীপক্ষ সুযোগ নিতে পারে তাই মুজিব বর্ষ পালনে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

জেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলকে শক্তিশালী করতে হবে। তৃণমূল হলো দলের প্রাণ।

খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমের সভাপতিত্বে এবং বিভাগীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।