বগুড়ায় ৯ শিবির কর্মী গ্রেপ্তার, 'নাশকতার বৈঠকের' অভিযোগ

বগুড়ায় ইসলামি ছাত্রশিবিরের নয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার অভিযোগে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত আটটার দিকে বগুড়া শহরের সূত্রাপুর রিয়াজ কাজী লেনের রেটিনা কোচিং সেন্টারের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে এসব নেতা-কর্মী আটক করে বগুড়া সদর থানার পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শিবিরের নয় নেতা-কর্মীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, কারাগারে পাঠানো নয় নেতা-কর্মী হলেন ইসলামি ছাত্রশিবিরের বগুড়া উত্তর শাখার সভাপতি এবং বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কড়ইল গ্রামের সাইফুদ্দিন সাইফুল (৩১), আদমদীঘি উপজেলার দেওধর গ্রামের বাসিন্দা এবং বগুড়া শহর ছাত্রশিবিরের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক আবদুল হাই সিদ্দিক (২৮), শাজাহানপুর উপজেলার গণ্ডগ্রামের বাসিন্দা ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের সদস্য ইউনুস আলী (২৫), দুপচাঁচিয়ার কুড়াহার গ্রামের বাসিন্দা এবং ইসলামি ছাত্রশিবিরের বগুড়া শহর শাখার সহশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জুয়েল রানা (২৮), শিবগঞ্জ উপজেলার মাছিমপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ছাত্রশিবিরের সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখার সাবেক সাথি সদস্য দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী (২৪), গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উত্তর মারওয়াদহ গ্রামের বাসিন্দা এবং বগুড়া শহরের মালগ্রাম উপশাখার সাথি সদস্য এনামুল হক (২৫), সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দুলাল গ্রামের বাসিন্দা ও শিবিরের সাবেক সাথি সদস্য আল আমিন (২৬), রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার চান্দামারি গ্রামের বাসিন্দা এবং ছাত্রশিবিরের সরকারি শাহ সুলতান কলেজ শাখার সাবেক সাথি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম (২৫) এবং নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার দক্ষিণ ঝুনাগাছ চাপানি গ্রামের বাসিন্দা ও শিবিরের সাবেক সাথি আবদুর রহমান (২৮)।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং নাশকতার গোপন পরিকল্পনা বৈঠকের জন্য গতকাল রাতে শহরের সূত্রাপুর রিয়াজ কাজী লেনে রেটিনা কোচিং সেন্টারে মিলিত হয়। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে ছাত্রশিবিরের নয় নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়।’

বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রশিবিরের আটক নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ধারায় মামলা করেছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ আদালতের মাধ্যমে শিবিরের নেতা-কর্মীদের কারাগারে পাঠানো হয়।