ইবিতে সিনিয়রকে 'দোস্ত' বলায় সংঘর্ষ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি

সিনিয়র এক ছাত্রকে ‘দোস্ত’ বলায় কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে হিমেল চাকমা নামের এক ছাত্র আহত হয়েছেন। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ভাষ্য, গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে ‘দোস্ত’ বলে সম্বোধন করে আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র কামাল হোসেন। এ নিয়ে জেবিয়ারের কাছে কামাল দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু কামালকে শাসিয়ে পরে দেখা করতে বলেন জেবিয়ার। কামাল তাঁর বন্ধুদের নিয়ে জিয়াউর রহমান হলে জেবিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করেন কামাল ও তাঁর বন্ধুরা।

ঘটনা জানতে পেরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা সেখানে গিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে কামাল অবস্থান করছেন জানতে পেরে জেবিয়ার তাঁর পক্ষের লোকজন নিয়ে কামালের কাছে যান। এ সময় কামাল কক্ষ থেকে বের হননি। তখন জেবিয়ারের পক্ষের লোকজন দরজায় লাথি ও ইট-পাটকেল মারতে থাকেন। পরে তাঁরা হল থেকে বের হয়ে মোড়ে অবস্থান নেন। জিয়া হলসহ অন্য হলে থেকে আসা কামালদের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে জেবিয়ারদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের হাতে দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়।

সংঘর্ষে হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র হিমেল চাকমা নামের এক ছাত্রলীগ কর্মী গুরুতর আহত হন। তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জের ধরে জিয়াউর রহমান হলের ছাত্রলীগ কর্মী ইমতিয়াজের কক্ষ (৪১৫) ভাঙচুর করা হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিমেল চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষ ঠেকাতে গেলে তাঁকে পরিকল্পিতভাবে একটি পক্ষ মারধর করে। তাঁর কপালে চারটি সেলাই পড়েছে। চোখেও দেখতে সমস্যা হচ্ছে।

রাতের ঘটনা সম্পর্কে জানতে আজ রোববার দুপুর ১২টার দিকে প্রক্টর পরেশ চন্দ্র বর্মণের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘জরুরি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আরিপ বলেন, ‘আমি ভিসি স্যারের রুমে আছি, পরে কথা বলছি।’