কুলিয়ারচরে অন্তঃসত্ত্বা ভাবিকে হত্যায় দেবরের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবর মো. বাছিরকে (৪০) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ সোমবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক মোহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন।

মো. বাছিরের বাড়ি কুলিয়ারচরের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তবে বাছির পলাতক আছেন।

রায়ে অপর পাঁচ আসামির অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাছিরের বড় ভাই শিক্ষক জজ মিয়ার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের (৩২) তালাক হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তীতে জজ মিয়া আবার তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনলেও পরিবার তা মেনে নিতে পারেনি। শিক্ষকতার কারণে জজ মিয়া কর্মস্থলে থাকার সুযোগে ২০০২ সালের ২ মে রাতে ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় আম্বিয়াকে হত্যা করেন বাছির। সে সময় আম্বিয়া সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ ঘটনায় আম্বিয়ার চাচা কায়েস উদ্দিন বাদী হয়ে কুলিয়ারচর থানায় বাছিরসহ অজ্ঞাত ৩-৪ জনের নামে মামলা করেন। বাছিরকে গ্রেপ্তার করার পর তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে বাছির, প্রতিবেশী শাহ আলম, ফজলুর রহমান, আবদুল হাসিম, খুর্শিদ ও মুর্শিদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী বিশেষ কৌঁসুলি জীবন কুমার রায়। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ক্ষীতিশ দেবনাথ।