কুষ্টিয়ায় মাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় মাকে হত্যার দায়ে এক ছেলেকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম জুয়েল রানা ওরফে জুয়েল সরদার। তিনি দৌলতপুর উপজেলার আংদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর পারিবারিক কলহের জেরে মা বানেরা খাতুনকে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন ছেলে জুয়েল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় বানেরা খাতুনের স্বামী ও আসামি জুয়েলের বাবা আজিজুল সরদার বাদী হয়ে পরের দিন ২৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) উজ্জ্বল হোসেন মামলাটি তদন্ত করে জুয়েল রানার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৫ জন সাক্ষী উপস্থাপন করা হয়। আদালত বলেছেন যে আসামি তাঁর মাকে অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেছেন। মাকে হত্যা করে জুয়েল রানা শুধু নৃশংসতাই দেখাননি, মানবতার শিকড়ে আঘাত করেছেন। আসামিকে পেনাল কোডের ৩০২ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন আদালত।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আবদুল মোতালেব। তিনি বলেন, আসামির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।