চলচ্চিত্র নির্মাণ এখন হাতের মুঠোয়

ষষ্ঠবারের মতো হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব। ছবি: সংগৃহীত
ষষ্ঠবারের মতো হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব। ছবি: সংগৃহীত

মুঠোফোনে চলচ্চিত্র তো দেখাই যায়। প্রযুক্তির উন্নয়নে সেই মুঠোফোনে এখন চলচ্চিত্র নির্মাণও করা হচ্ছে। আর তা নিয়েই উৎসবের আয়োজন করেছে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে ইউল্যাবের স্থায়ী ক্যাম্পাসে ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের ষষ্ঠ আসরের উদ্বোধন হয়।

ইউল্যাবের শিক্ষানবিশ কার্যক্রম সিনেমাস্কোপের একটি উদ্যোগ ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের আয়োজনে বিশ্বের ৪১টি দেশ থেকে ২০২টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। আয়োজকেরা জানান, এবার বাংলাদেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক ৩৪টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক ও আয়োজক। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসবের বিচারক ও আয়োজক। ছবি: সংগৃহীত

দুই দিনব্যাপী এবারের আসরে বিচারক ও জুরিবোর্ডের চেয়ার প্রযোজক-নির্মাতা আরিফুর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা জুরিবোর্ড বোঝার চেষ্টা করেছি যে এই তরুণ ফিল্মমেকাররা কীভাবে মুঠোফোন ব্যবহার করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এটা যেমন তাঁদের জন্য সুবিধাজনক ছিল, তেমনি রিস্কিও। কারণ, কোনো কিছু যখন খুব সহজলভ্য থাকে, তখন তার সর্বোত্তম ব্যবহার কঠিন হয়ে যায়।’

মোবাইল ফোনে চলচ্চিত্র নির্মাণ সম্পর্কে আরিফুর রহমান বলেন, এই ডিভাইস দিয়ে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করা যায়। নানা দিক থেকে ভাবার সুযোগ আছে, যেটা বড় কোনো ডিভাইস দিয়ে হয়তো সম্ভব না।

আরিফুর রহমানের সঙ্গে আরও বিচারক আছেন নেপালের চলচ্চিত্রকার-সাংবাদিক দেভাকি বিসত ও চলচ্চিত্র সমালোচক সাদিয়া খালিদ।

এবারের উৎসবের ছবি স্টার সিনেপ্লেক্সের সীমান্ত সম্ভারে দেখা যাবে।

ইউল্যাবের উপাচার্য ও উৎসবের জুরি চেয়ার আয়োজকদের একজনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। ছবি: সংগৃহীত
ইউল্যাবের উপাচার্য ও উৎসবের জুরি চেয়ার আয়োজকদের একজনের হাতে সম্মাননা তুলে দেন। ছবি: সংগৃহীত

ইউল্যাবের উপাচার্য জহিরুল হক আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ প্রায়ই নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসে। তারা বেশ ভালো কাজ করে। যেটা পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক সহায়ক হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের (এমএসজে) প্রধান জুড উইলিয়াম জেনিলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এমএসজে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, আবদুল কাবিল খান, জ্যেষ্ঠ প্রভাষক নন্দিতা তাবাসসুম প্রমুখ।

নতুন প্রজন্ম, নতুন প্রযুক্তি ও নতুন যোগাযোগ—স্লোগানে প্রতিবছর ঢাকা আন্তর্জাতিক মোবাইল চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজন করা হয়। ষষ্ঠ আসরের সহযোগী হিসেবে রয়েছে প্রথম আলো ডটকম। রেডিও পার্টনার এবিসি রেডিও। ভেন্যু পার্টনার স্টার সিনেপ্লেক্স। ইভেন্ট পার্টনার মেডফ্ল্যাকক্ট।