স্বেচ্ছাসেবা ব্যক্তি ও সমাজকে মানবিক করে
বয়সে তাঁরা সবাই তরুণ এবং শিক্ষার্থী। তাঁদের কেউ পথশিশুদের শিক্ষার জন্য কাজ করেন, কেউ নারী অধিকার আদায়ে, কেউ পরিবেশদূষণ রোধে আবার কেউবা বিনা মূল্যে দুস্থ রোগীদের রক্তদান সেবায় এগিয়ে যান। যান্ত্রিক জীবনে সবাই যখন প্রতিযোগিতার দৌড়ে ব্যস্ত, তখন একদল তরুণ নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছেন মানুষের জন্য।
তরুণদের এমন স্বেচ্ছাসেবাকে উৎসাহ দিতে শুরু হচ্ছে ‘স্বেচ্ছাসেবা সম্মাননা ২০২০’। ভালো কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে ভলান্টারি সার্ভিসেস ওভারসিজ (ভিএসও) এবং প্রথম আলো। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ শনিবার বরিশালে ভিএসও-প্রথম আলো স্বেচ্ছাসেবা সম্মাননাবিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টায় প্রথম আলোর আঞ্চলিক কার্যালয়ে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়। সভায় বরিশালের অন্তত ২২টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁরা মানুষ, পরিবেশ, সমাজ ও দেশের উপকারে আসে এমন কাজে যুক্ত। সবার বক্তব্য অবশ্য একই, স্বেচ্ছাসেবা মানুষকে সমৃদ্ধ করে। স্বেচ্ছাসেবা তাঁদের আরও ভালো কাজ করতে অনুপ্রেরণা দেয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর ‘ছুটির দিনে’র সম্পাদনা বিভাগের প্রধান সজীব মিয়া। মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ইনফ্রার পরিচালক মো. আমির হোসেন। প্রথম আলোর বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক এম জসীম উদ্দীন অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
বক্তব্যে সজীব মিয়া স্বেচ্ছাসেবা সম্মাননা উদ্যোগ সম্পর্কে জানান, কৃষি, পরিবেশ ও জলবায়ু, শিক্ষা, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি, কর্মমুখী দক্ষতা উন্নয়ন ও জরুরি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করা স্বেচ্ছাসেবক ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
অতিথি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ইনফ্রার পরিচালক প্রকৌশলী আমির হোসেন বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবা এমন এক কাজ যা ব্যক্তিকে মানবিক করে এবং সমাজকে মানবিক হতে সাহায্য করে। পড়াশোনার পাশাপাশি এতগুলো তরুণ একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছে দেখে সত্যি অবাক করেছে আমায়।’ এই তরুণদের কাজে উৎসাহ দিতে সম্মাননা আয়োজন করায় ভিএসও ও প্রথম আলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর ভিডিও চিত্র নায়ক ও অধিনায়কেরা, আলোর পাঠশালা, ভিএসও ভিডিও, প্রথম আলোর ২০ বছর, গানের ভিডিও সেদিন আর কত দূর প্রদর্শন করা হয়।