ইমন হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শনির আখড়ায় কিশোর ইমন (১৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব ১০। আজ শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব ১০ এর অধিনায়ক কাইয়ুমুজ্জামান খান। কিশোর ইমন হত্যার ঘটনায় এ পর্যন্ত চারজন আসামি গ্রেপ্তার হলেন।

কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, আজ সকাল ছয়টার দিকে র‍্যাব ১০ এর একটি দল কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গী বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় ইমন হত্যার মূল আসামি এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে যাত্রাবাড়ীর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে পাগলা মেডিকেল সড়কে কিশোর ইমনকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ইমনের বাবা আবু বকর সিদ্দিক যাত্রাবাড়ীর পাঁচ কিশোরের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন।

মামলার কাগজপত্র, নিহতের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কিশোর ইমন তার বাবার সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর একটি দোকানে দরজির কাজ করত। গত রোববার রাত আটটার দিকে ইমনের পায়ের ওপর এক (আসামিদের বন্ধু) ছেলে সাইকেলের চাকা তুলে দেয়। ক্ষিপ্ত হয়ে তখন ইমন ওই ছেলেকে থাপ্পড় মারে। পরে ওই ছেলে তার বন্ধুদের এই কথা জানায়। গতকাল দুপুরে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ইমনকে সাত থেকে আট কিশোর ঘিরে ধরে। এরপর তারা তাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। একপর্যায়ে এক কিশোর চাকু দিয়ে ইমনের বুকে আঘাত করে। তখনই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ইমন। পরে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, তুচ্ছ কারণে একদল কিশোর আরেক কিশোর ইমনকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।অভিযুক্ত কিশোরেরা সবাই স্কুলছাত্র। তুচ্ছ কারণে ইমনকে তারা হত্যা করেছে।

এ হত্যাকাণ্ডে তিন আসামি ১৬৪ ধারায় ঢাকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। ওই তিনজনই নবম শ্রেণির ছাত্র। তারা মা-বাবার সঙ্গে যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে।