ভারতের পররাষ্ট্রসচিব যেসব বার্তা দিয়ে গেলেন

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে, এমন কিছু করবে না ভারত, এমন আশ্বাস দিয়ে গেছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। বিশেষ করে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) কোনোভাবেই যাতে বাংলাদেশের ওপর প্রভাব না ফেলে, সে ব্যাপারে ভারতের নীতিনির্ধারকেরা সজাগ আছেন, এমন বার্তা দিয়েছেন তিনি। কূটনীতিক সূত্রে এসব বিষয় জানা গেছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অংশগ্রহণের বিষয়টিও নিশ্চিত করে গেছেন হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানটি নির্বিঘ্ন হবে, ভারত এমনটাই প্রত্যাশা করে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশে বিক্ষোভের পাশাপাশি নানা মহলের বিরোধিতা ভারতকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে বাংলাদেশ আশ্বস্ত করেছে, নরেন্দ্র মোদিকে অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কাজেই তাঁকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানো, কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে ওই সময়ে না হয়, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার সতর্ক রয়েছে।

দুই দিনের সফর শেষে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা ছেড়ে গেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। গতকাল তাঁর কোনো আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি ছিল না। তবে বিভিন্ন পেশার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তাঁর সঙ্গে হোটেলে দেখা করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকে সিএএ এবং এনআরসিকে ঘিরে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি রয়েছে, সে প্রসঙ্গ তুলেছে বাংলাদেশ।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব কোন প্রেক্ষাপটে, কেন সিএএ এবং এনআরসি করা হয়েছে, তা তুলে ধরেন। দিল্লির পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন তিনি।

বৈঠকে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব জানান, ভারতের নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অনেকের ভুল ধারণা আছে। এটি কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। নিপীড়নের শিকার হওয়া লোকজনের দ্রুত ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে এই আইন করা হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা ভালো আছে। তবে ১৯৭৫-পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসন ও সামরিক শাসকের মোড়কে পরিচালিত শাসনামলে বাংলাদেশের অনেক সংখ্যালঘু ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। ওই সময় বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ভূলুণ্ঠিত হয়েছিল।