চট্টগ্রাম সিটির ভোট দুই দিন পেছানোর দাবি বিএনপি প্রার্থীর

শাহাদাত হোসেন। ফাইল ছবি
শাহাদাত হোসেন। ফাইল ছবি

নির্বাচন দুই দিন পেছানো এবং প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে ভোটদানের ক্ষমতা ১ শতাংশ করাসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিএনপির প্রার্থী শাহাদাত হোসেন। আজ বুধবার দুপুরে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামানকে তাঁর কার্যালয়ে লিখিতভাবে এই দাবিনামা পেশ করা হয়।

দাবির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচন ৩১ মার্চ করা। ২৬ মার্চ থেকে টানা ছুটির কারণে ভোটাররা কেন্দ্রমুখী না হওয়ার সম্ভাবনা থেকে বিএনপি প্রার্থী শুরু থেকেই এই দাবি জানিয়ে আসছেন। গতকালও তিনি লিখিতভাবে আবার এই দাবি জানান।

শাহাদত হোসেন বলেন, ‘টানা ছুটির কারণে নগরের লোকজন ছুটিতে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সে জন্য ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে নির্বাচন পেছানোর দাবি জানাচ্ছি।’

তবে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম শাহাদাতের এই দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয় বলে কয়েক দিন আগে চট্টগ্রামে জানিয়ে দেন। নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দেন তিনি।
অন্য দাবির মধ্যে ইভিএমের প্রতিটি কক্ষে পোশাকধারী সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি কক্ষে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানোর দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অধিকার ১ শতাংশ করার দাবি জানানো হয়। এ ক্ষেত্রে যুক্তি হিসেবে বলা হয়, নগরের প্রায় ২০ লাখ ভোটের মধ্যে যদি ৫ শতাংশ প্রিসাইডিং কর্মকর্তার আওতায় থাকে, তাহলে এক লাখ ভোট হয়। এটা জয় পরাজয়ে প্রভাব বিস্তার করবে। ফলে কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

চার নম্বর দাবির মধ্যে রয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া যেন কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ রোধ করতে এই দাবি জানানো হয় বলে শাহাদাত হোসেন জানান।
জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থী কিছু দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাঁর লিখিত দাবিটি নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দেব।’

দাবিনামা পেশ করার সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আবু সুফিয়ান, সহসভাপতি আবদুল আজিজ, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, শফিকুর রহমান, কাজী বেলাল, শাহা আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুরুল আলম, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

২৯ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।