বিছানায় পড়ে ছিল কিশোরীর রক্তাক্ত দেহ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মা-বাবা দুজনেই কৃষি শ্রমিক। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন শোয়ার ঘরের বিছানায় পড়ে আছে কিশোরী মেয়ের রক্তাক্ত দেহ। বুধবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা আশ্রমপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

নিহত কিশোরীর নাম শ্রাবণী রানী (১৫)। সে শহরের সিএম আইয়ুব বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ত। তাঁর বাবার নাম ভবেশ চন্দ্র বর্মণ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভবেশের বাবা নীড় মোহন (৭০) পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগী। তিনি পাশের ঘরে ছিলেন। আর এদিকে কাজ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শ্রাবণীর মা-বাবা বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের ভেতরে বিছানায় মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে আছে। তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে শ্রাবণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ভবেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কাজ শেষে বাড়ি ফিরেই ঘরের বিছানায় মেয়ের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখি। এ নিয়ে আমি আর কিছু বলতে পারছি না।’

এ বিষয়ে আকচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুব্রত বর্মণ বলেন, কী কারণে শ্রাবণীকে হত্যা করা হয়েছে, তা জানা যায়নি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মর্তুজা বলেন, ভবেশের বাবা পাশের ঘরে ছিলেন। আর ছোট বোন প্রতিবেশীর বাড়িতে বেড়াতে যায়। এ সময় কেউ বাড়িতে ঢুকে তাঁকে গলাকেটে হত্যা করে থাকতে পারে। মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।