শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজশাহীর সেই শিক্ষক বরখাস্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষক মো. দুরুল হুদাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুলটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবুল হাসান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং স্কুলটির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবুল হাসান চৌধুরী স্বাক্ষরিত বরখাস্তের আদেশে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের শিক্ষক মো. দুরুল হুদা ফৌজদারি অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁকে গত বছরের ২০ অক্টোবর থেকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। তিনি সাময়িক বরখাস্তকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক জীবিকা নির্বাহ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক রিটের রায়ে হাইকোর্ট ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই আদেশে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি শ্লীলতাহানির শিকার ছাত্রীটির স্কুলে আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযোগটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করতেও বলেন আদালত।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রীর বাসায় পড়াতে আসেন দুরুল হুদা। পড়া শেষে বাড়ি দেখার নাম করে ছাত্রীকে স্টোর রুমে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন তিনি। এ সময় ছাত্রীর চিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে তিনি পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রায় দুই মাস কারাগারে থাকার পর গত ১৫ ডিসেম্বর জামিনে বেরিয়ে আসেন দুরুল হুদা। পুলিশ এ মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর। জামিনের পর থেকে ওই শিক্ষক বিদ্যালয়ে নিয়মিত আসায় ওই ছাত্রী দুই মাস ধরে বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না বলে অভিযোগ করে আসছিল তার পরিবার।

এ ঘটনায় ছাত্রীর অভিভাবকেরা অভিযোগ করে আসছিলেন, স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতির সম্মতিতেই ওই শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া করছেন। এমনকি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায়ও উপস্থিত থাকছেন। এ কারণে তাঁদের মেয়ে স্কুল যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। তবে অভিযুক্ত শিক্ষক দুরুল হুদা ২০ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, ওই ছাত্রীর অভিভাবক তাঁদের বড় মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে, তা প্রত্যাখ্যান করায় তাঁকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে দুরুল হুদা বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্তের কোনো আদেশ পাননি।

আরও পড়ুন: