মোংলা বন্দরে তিন বিদেশি নাবিক আইসোলেশনে

মোংলা বন্দরে আসা একটি বিদেশি জাহাজের তিনজন নাবিকের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যাওয়ায় তাঁদের সতর্ক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। ফিলিপাইনের নাগরিক ওই তিন নাবিককে জাহাজের ভেতর একটি আলাদা কক্ষে (আইসোলেশন) রাখা হয়েছে। ওই জাহাজে ক্যাপ্টেনসহ আরও ১৭ জন নাবিক রয়েছেন।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, মার্শাল আইল্যান্ডের পতাকাবাহী কয়লাবোঝাই জাহাজ এমভি সিরিনিটাস এন ২৪ হাজার টন কয়লা বোঝাই করে ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রথমে সিঙ্গাপুরে যায়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে বুধবার রাত নয়টায় মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় নোঙ্গর করে। এরপর বন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়মানুযায়ী ওই জাহাজে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন পোর্ট হেলথের একটি দল জাহাজের ক্যাপ্টেনসহ ২০ নাবিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে। এ সময় ফিলিপাইনের নাগরিক তিন নাবিকের শরীরে স্বভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যায়।

মোংলা বন্দর হাসপাতালের প্রধান চিকিৎসক মো. আবদুল হামিদ বলেন, বেশি তাপমাত্রা পাওয়ার পর তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আইইডিসিআরের পরামর্শ অনুযায়ী, এই তিন নাবিককে জাহাজের আলাদা একটি কক্ষে স্থানান্তর করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবার তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। দুজনের শরীরের তাপমাত্রা কমে স্বাভাবিক অবস্থায় এসেছে। একজন নাবিকের তাপমাত্রা এখনো কিছুটা বেশি আছে। এটি স্বাভাবিক ফ্লুজনিত জ্বর হতে পারে। তারপরও যেহেতু বিদেশি নাবিক, সে কারণে তাঁদের আরও কিছুদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তিনি এ নিয়ে গুজব ছড়ানো বা আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানান।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান শেখ মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বন্দরে আসা বিদেশি জাহাজটি বর্হিনোঙ্গরে আছে। সেখানে গিয়ে বিদেশি নাবিকদের থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের সুস্থতার ছাড়পত্র ছাড়া ওই জাহাজে দেশি শ্রমিকসহ কাউকেই উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া বন্দর হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ একটি টিম সার্বক্ষণিক প্রস্তত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী এখন পর্যন্ত মোংলা বন্দরে শনাক্ত হয়নি। এ বিষয় নিয়ে কোনো সংবাদমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানান তিনি।