প্রাণিসম্পদ খাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ ও বিসিএস প্রাণিসম্পদ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। পরে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ ও বিসিএস প্রাণিসম্পদ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। পরে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

পোশাকসহ অন্যান্য রপ্তানি খাতের মতো মাংস ও অন্যান্য সামগ্রী রপ্তানি করে প্রাণিসম্পদ খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি অ্যাসোসিয়েশন, বঙ্গবন্ধু ভেটেরিনারি পরিষদ ও বিসিএস প্রাণিসম্পদ ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় শ ম রেজাউল করিম এ মন্তব্য করেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাণিসম্পদ বিভাগে যারা দক্ষ জনশক্তি রয়েছে, তাদের আন্তরিকতা ও একাগ্রতা থাকলে দেশে প্রাণিসম্পদের উন্নয়নে অভাবনীয় সাফল্য আসবে। এ সাফল্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করবে। শুধু তা–ই নয়, বরং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পৃথিবীর বিভিন্ন মুসলিম দেশসহ অন্যান্য দেশে হালাল ও ভালো মাংস আমদানির চাহিদা রয়েছে। প্রক্রিয়াজাতকরণসহ প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন করতে পারলে রপ্তানি ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর এগোতে পারব।’

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী চান না দেশে একজন মানুষও না খেয়ে থাকুক। সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক চাহিদা তথা অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা তিনি নিশ্চিত করতে চান। প্রান্তিক কৃষক ও জেলেদের জন্য আমরা এমন কিছু করে দিতে চাই, যাতে তাদের দুরবস্থা না থাকে। প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের জন্য আমরা যদি তাদের সহজে ঋণ দিতে পারি, দিকনির্দেশনা দিতে পারি, তাহলে দারিদ্র্য একদিন জাদুঘরে চলে যাবে। সে ক্ষেত্রে প্রাণিসম্পদের বিভিন্ন পর্যায়ে যাঁরা সম্পৃক্ত আছেন, তাঁদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।’

অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের উদ্দেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশার জায়গা থেকে বলব, শুধু অ্যাসোসিয়েশন–কেন্দ্রিক জায়গায় আবদ্ধ থাকবেন না। দেশ, জাতি, সমাজ, সভ্যতা, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ এবং প্রাণিকুলের জন্য দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ জায়গা থেকে বিচ্যুত হবেন না।’

এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা মাংস, দুধ ও ডিমে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে মন্ত্রণালয়ের গৃহীত সব কার্যক্রমে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পরে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা মন্ত্রীর হাতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন।