রাইস ট্রান্সপ্লান্টার চাষিদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে

রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে বোরোর চারা রোপণ করা হচ্ছে। এ যন্ত্রে স্বল্প সময়ে সারিবদ্ধভাবে চারা রোপণ করা যায়।  ছবি: প্রথম আলো
রাইস ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে বোরোর চারা রোপণ করা হচ্ছে। এ যন্ত্রে স্বল্প সময়ে সারিবদ্ধভাবে চারা রোপণ করা যায়। ছবি: প্রথম আলো

সিরাজগঞ্জে আধুনিক কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টার কৃষকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। এই যন্ত্র ব্যবহারে যেমন স্বল্প সময়ে সারিবদ্ধভাবে ধানের চারা লাগানো যায়, তেমনি খরচও কম। এ কারণে কৃষকেরা এই যন্ত্র ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। তাঁরা যন্ত্রটি সহজলভ্য করার দাবি জানিয়েছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সিরাজগঞ্জ কার্যালয় থেকে জানা গেছে, খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের ভর্তুকির মাধ্যমে আধুনিক কৃষিযন্ত্র রাইস ট্রান্সপ্লান্টারসহ অন্যান্য আধুনিক কৃষিযন্ত্র সরবরাহ করছে। চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৪১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

বোরো মৌসুম এলেই কৃষকদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। শ্রমিক সংকটের কারণে ভোগান্তি বেড়ে যায় দ্বিগুণ। অনেক সময় যথাসময়ে জমিতে সঠিকভাবে ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এ কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি খরচও বেড়ে যায়। কিন্তু রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের সাহায্যে জমিতে চারা রোপণ করে উপকৃত হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন জেলার কৃষকেরা।

গত মঙ্গলবার দুপুরে মাঠে গিয়ে কথা হয় জেলার সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের কৃষকদের সঙ্গে। কৃষক আবু হাসেম বলেন, ‘আমার এক বিঘা জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে তিন থেকে চারজন কামলা লাগত। এতে তিন থেকে চার হাজার টাকা খরচ হতো। আধুনিক এই যন্ত্রের সাহায্যে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিঘা জমিতে ধানের চারা রোপণ করা যায়। খরচও অনেক কম হয়।’

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী প্রথম অলোকে বলেন, ‘জেলার কৃষকদের আধুনিক কৃষক হিসেবে গড়ে তুলতেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ কৃষকদের সুবিধার্থে ভর্তুকির মাধ্যমে এই যন্ত্রসহ অন্যান্য আধুনিক যন্ত্র সরবরাহ করছে। এতে করে কৃষকেরা অনেক লাভবান হচ্ছেন।’