বউভাত থেকে ফেরার সময় দুটি নৌকা ডুবে ২০ জন নিখোঁজ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজশাহীতে বর-কনেসহ বউভাতের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ২০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এক শিশুকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবির এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে। বিজিবি সদস্যরাও স্পিডবোট নিয়ে নদীতে ভাসমান মানুষ খুঁজছে। নদীপাড়ে প্রস্তুত রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স।

জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, দুটি নৌকায় অন্তত ২০ জন নিখোঁজ হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭-৮টি শিশুও আছে। বরসহ সাতজন জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন। তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বউভাতের অনুষ্ঠান শেষে বরের বাড়ি থেকে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বরের নাম রুমন আলী (২৬)। তাঁর বাড়ি পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামে। বাবার নাম ইনসার আলী। আর কনের নাম সুইটি খাতুন (২০)। তাঁর বাড়ি রাজশাহী শহর সংলগ্ন পবা উপজেলার ডাঙেরহাট গ্রামে। বাবার নাম শাহীন আলী। গত বৃহস্পতিবার রুমন-সুইটির বিয়ে হয়। আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে সুইটির আত্মীয়স্বজনেরা বর-কনেকে আনতে যায়। ফেরার পথে মাঝপদ্মায় নৌকা ডুবে যায়।

বরা ছাড়া উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, খাদিমুল ইসলাম (২৩), রতন আলীর স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন (২২), সুমন আলী (২৮) ও তাঁর স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২) এবং মেয়ে সুমনা আক্তার (৬)।

খাদিমুল নৌকার মাঝি ছিলেন। বৃষ্টি খাতুন জীবিত উদ্ধার হলেও তার মেয়ে মরিয়ম খাতুন (৬) মারা গেছে। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মায়ের সঙ্গে তাকে উদ্ধার করা হয়। বৃষ্টি খাতুন জানিয়েছেন তাঁর স্বামী রতন সাঁতার জানেন না। তার তাঁর এক পাটি সেন্ডেল ভেসে থাকতে দেখা গেছে। আর মেয়েকে নিয়ে সাঁতরে উঠেছিলেন সুমন-নাসরিন দম্পতি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী সদর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, দুটি নৌকায় ৩৫ জনের মতো যাত্রী ছিল। এর মধ্যে ১৭ জন নারী ও ৬ জন শিশু। সন্ধ্যায় দুই নৌকা ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। কতজন নিখোঁজ রয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।