বশেমুরবিপ্রবির ভারপ্রাপ্ত ভিসি-প্রক্টর অবরুদ্ধ

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, প্রক্টরসহ কয়েকজনকে একাডেমিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। ছবি: প্রথম আলো
গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, প্রক্টরসহ কয়েকজনকে একাডেমিক ভবনে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। ছবি: প্রথম আলো

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (ভিসি), প্রক্টর, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাডেমিক ভবনের ৫০১ নম্বর কক্ষে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আজ সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, প্রক্টর, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা একাডেমিক ভবনের পঞ্চম তলার ৫০১ নম্বর কক্ষে মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা সভায় যোগ দিতে যান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ওই কক্ষের দরজায় তালা দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। ফলে পূর্বনির্ধারিত আলোচনা সভা পণ্ড হয়ে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার একপর্যায়ে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে উঠতে শুরু করে। শিক্ষকদের একটি গ্রুপ শিক্ষার্থীদের কয়েকটি দাবি নিয়ে আলোচনার জন্য উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে ওই কক্ষের ভেতরে যান। আলোচনার একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা মার্চ মাসের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে তাঁরা শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করবেন বলে জানান।

ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র কারিমুল হক বলেন, আলোচনা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি ও ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট তরিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং একপর্যায়ে তাদের গায়ে হাত তোলেন। এতে তিনি, মোস্তাফিজুর রহমান ও সাইদুর ইসলাম আহত হন। পরে শিক্ষার্থীরা আবারও ওই কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আলোচনার শেষ পর্যায়ে আমরা যখন সভা কক্ষ থেকে বের হয়ে আসছিলাম, তখন শিক্ষার্থীরা আমাদের বের হতে বাধা দেয় এবং আমাদের লক্ষ্য করে বোতল ছুড়তে থাকে। এতে আমাদের পাঁচ কর্মচারী আহত হন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রাজিউর রহমান বলেন, ‘কে কাকে আহত করেছে বিষয়টা আমি জানি না। আমরা এই মুহূর্তে অবরুদ্ধ আছি।’