ভ্যান থেকে নামাতে গিয়ে দেখেন আসামি একজন কম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরে আদালতে হাজিরা দিতে এসে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে এক আসামি। পুলিশ প্রিজনভ্যান থেকে আসামিদের নামাতে গিয়ে দেখেন একজন আসামি কম। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আসামির কোনো সন্ধান পায়নি পুলিশ।

পালিয়ে যাওয়া ওই আসামির নাম মো. শাহীন আলম সবুজ (৪০)। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া থানার টেকিপাড়া এলাকায়। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে আজ তাঁকে অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিতে আদালতে আনা হচ্ছিল। 


পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, সকালে হাজিরা দিতে শাহীন আলম সবুজসহ মোট ৫০ জন আসামিকে আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। এদের মধ্যে কাশিমপুর কারাগারের ২৩ জন এবং জেলা কারাগারের ছিল ২৭ জন। এসব আসামিদের একটি প্রিজনভ্যানে করে নেওয়া হচ্ছিল। সকাল দশটার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান থেকে নামানোর সময় কৌশলে পালিয়ে যান শাহিন আলম। পরে বিষয়টি টের পেলে তাঁকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ।

গাজীপুর মহানগর আদালতের পরিদর্শক মো. আতিকুর রহমান জানান, আসামিদের হাতকড়া পড়া অবস্থায়ই প্রিজনভ্যান থেকে নামানো হচ্ছিল। এর মধ্যে অনেক আসামি একসঙ্গে হওয়ায় কিছুটা ভিড় লেগে যায়। পরে আসামিদের আদালতে তোলার সময় গণনা করে দেখা যায় একজন কম। খোঁজ নিয়ে জানা যায় সবুজ পালিয়েছে। তিনি বলেন, ‘অনেক আসামি এক সঙ্গে হওয়ায় খুবই কৌশলে হাতকড়া খুলে পালিয়েছে সে। তাকে ধরার জন্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে অভিযানে নেমেছি। এ ব্যাপারে গাজীপুর সদর থানায় আসামি পলায়নের একটি মামলাও করা হয়েছে।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সবুজ গত বছরের ২২ অক্টোবর গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তরিত হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের অস্ত্র আইনে একটি, রেলওয়ের লাকসাম থানায় ২০১১ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং ২০১৫ সালে রেলওয়ে থানার আরও একটি মামলা রয়েছে। আজ সকালে অস্ত্র আইনের মামলায় হাজিরা দিতে কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুর আদালতে নেওয়া হচ্ছিল।

আসামি পালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. আহসান হাবীবকে দায়িত্ব দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামি ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।