সিলেট জেলা বিএনপির বিভক্তি নিরসনে তিন দফা বৈঠক

সিলেট জেলা বিএনপির তৃণমূল পুনর্গঠন নিয়ে বিভক্তি নিরসনে তিন দফা বৈঠক হয়েছে। তবে এতে বিভক্তি দূর করার কোনো সিদ্ধান্ত বা উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের জানিয়ে পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে গত রোববার দিনভর তিনটি বৈঠক হয়।

বিএনপি সূত্র জানায়, মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই মাসে আগেই গত বছরের ২ অক্টোবর জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে কেন্দ্র থেকে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক মনোনীত হন জেলা বিএনপির বিগত কমিটির সহসভাপতির দায়িত্বে থাকা কামরুল হুদা জায়গীরদার। তাঁর নেতৃত্বে গত চার মাসে ১৩টি উপজেলা ও ৫টি পৌর শাখা পুনর্গঠনে ১৮টি সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা হয়।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে কমিটি ঘোষণার পর জেলার ২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির ৯ জন সদস্য সরাসরি বিবৃতি দিয়ে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় জেলা আহ্বায়কের স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তোলেন। দুদিন পর বিবৃতিদাতা ৯ জন নেতার দাবির প্রতি একাত্ম হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তৃণমূল বিএনপির একটি অংশ। সংবাদ সম্মেলনে জেলার আহ্বায়ককে ‘অযোগ্য’ও ‘অদক্ষ’ আখ্যা দিয়ে তাঁকে অপসারণের দাবি জানানো হয়।

এ অবস্থায় সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গত রোববার সিলেটে আসে। প্রথম দফায় সিলেটের নেতৃত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠক করেন। পরে এক নেতার বাসায় বিবৃতিদাতা ৯ জন নেতার সঙ্গে বৈঠক হয়। সবশেষে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের একটি হলরুমে জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়।

সর্বশেষ এই বৈঠকের পরে জানানো হয়, সার্বিক বিষয়ে কেন্দ্রের শীর্ষ নেতাদের জানিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। বৈঠকে এ জেড এম জাহিদ হোসেন বর্তমান সময়কে ‘বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ক্রান্তিকাল’ অভিহিত করেন। তিনি দ্বন্দ্ব–কোন্দল ভুলে পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া চালানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিএনপি শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে জেল-জুলুম ও নির্যাতনের স্টিমরোলার চালানো হচ্ছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ হক ও এনামুল হক চৌধুরী, সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হাসান, কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।

কেন্দ্রীয় নেতাদের একজন বলেন, দুই পক্ষের কথা শোনা হয়েছে। সিদ্ধান্তের আগ পর্যন্ত একযোগে কাজ করতে হবে। নাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।