মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় আলাদা ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকেরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখন তাঁরা অন্য রোগের চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সচেতন করছেন।

তবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মচারীদের ব্যবহারের জন্য মাস্ক, গাউনসহ অন্যান্য সামগ্রী নেই। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে উপজেলায় ১০ সদস্যের কমিটি ও সাত সদস্যের র‌্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে এ নিয়ে উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউএনও আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে গতকাল উপজেলা কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা হয়েছে। আর এই ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে স্থানীয় জনগণের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া হাসপাতালে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে।

আজ বেলা ১১টায় মহেশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, নিচতলায় মহিলা ওয়ার্ডের পাশে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট। আর করোনাভাইরাস প্রতিরোধের উপায় নিয়ে হাসপাতালে আন্ত ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের উদ্বুদ্ধ করছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তবে চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মচারীদের ব্যবহারের জন্য মাস্ক, গাউনসহ অন্যান্য সামগ্রী আজ দুপুর পর্যন্ত পৌঁছায়নি বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত রোববার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে করোনাভাইরাস নিয়ে প্রশিক্ষণ পান চিকিৎসকেরা। পরে চিকিৎসকেরা মাঠপর্যায়ে ১২০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে হাতেকলমে করোনাভাইসার প্রতিরোধের উপায় নিয়ে প্রশিক্ষণ দেন।

জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আর হাসপাতালে খোলা হয়েছে পাঁচ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট। তবে চিকিৎসক, নার্স ও অন্য কর্মচারীদের ব্যবহারের জন্য মাস্ক, গাউনসহ অন্যান্য সামগ্রী এখনো পাননি।