শিক্ষকের বিচ্ছিন্ন হাতটি কাজ করবে কি না জানতে আরও সময় লাগবে

হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিক্ষক ফাহিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত
হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিক্ষক ফাহিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া হাত জোড়া লাগিয়েছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকেরা। তবে হাতটি আর কাজ করবে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। 

রাত পৌনে ১২টার দিকে ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হোসাইন ইমাম প্রথম আলোকে জানান, শিক্ষিকার কনুইয়ের ওপর থেকে হাত একরকম গুঁড়ো হয়ে গেছে। চিকিৎসকেরা হাতটি সংযুক্ত করেছেন ঠিকই, তবে হাতটি সচল হবে কি না, তা নির্ভর করছে বাধাহীন রক্ত সঞ্চালনের ওপর।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ছয় সদস্যের চিকিৎসক দল একনাগাড়ে রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত অস্ত্রোপচার করে। এরপর শিক্ষিকার মাথাসহ শরীরের অন্যান্য আঘাতের শুশ্রূষা শুরু হয়।

এর আগে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হেলিকপ্টারে সৈয়দা ফাহিমা বেগমকে ঢাকায় আনা হয়।
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জে শিক্ষা সফরের মিনিবাস থেমে থাকা ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা খেলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক সৈয়দা ফাহিমা বেগমের হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ওই দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থীসহ ১৪ জন আহত হন। তবে তাঁরা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।