করোনাভাইরাস: ভৈরবে ৩৪ জন 'হোম কোয়ারেন্টাইনে'

ছবি: রয়টার্স
ছবি: রয়টার্স

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তিন দিনে মোট ৩৪ জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা ৩২ জন পুরুষ। তাঁরা সবাই বিদেশফেরত। বাকি দুজন নারী।

পৌর ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে আজ বুধবার থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির ব্যবস্থাপনায় ৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া স্থানে নির্মাণাধীন ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার মধ্যে শয্যা প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি আছে, এমন লোকজনকে রাত থেকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখার চিন্তা করছে প্রতিরোধ কমিটি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, ভৈরবে প্রথমে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয় গত সোমবার। ওই দিন সংখ্যা ছিল ১১ জন। মঙ্গলবার রাখা হয় ১৩ জনকে। আজকে রাখা হয়েছে ১০ জনকে। প্রত্যেকের বাড়ির পৃথক কক্ষে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা ১৪ দিন পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এই সময় তাঁদের বাইরে চলাফেরা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদেরও চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিবারের সদস্যদের নিজ ঘর ও আঙিনা পর্যন্ত এলাকায় চলাফেরা সীমাবদ্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

এ আদেশের কোনো ব্যত্যয় ঘটছে কি না, স্বাস্থ্য সহকারীরা তার প্রতি নজর রাখছেন। জনপ্রতিনিধি ও সমাজসচেতনদেরও এই কাজে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ব্যতিক্রম হলেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফোন আসছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে থাকা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারী হুমায়ুন কবির বলেন, সবাইকে যথাযথ নিয়মের মধ্যে রাখা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরাও সচেতন আছেন। ফলে সমস্যা হচ্ছে না।

আজ সকাল ১০টার দিকে ট্রমা সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুবনা ফারজানা এবং সদস্যসচিব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদের নেতৃত্বে আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হচ্ছে। শয্যা আনা হয়েছে। শয্যার জোগান এসেছে শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে।

বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বেশির ভাগই ইতালি থেকে আসা। তাঁদের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা স্পষ্ট। সবাইকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ঘরের নির্দিষ্ট কক্ষে থাকতে হবে। ব্যতিক্রম হলে পুলিশ ডাকারও সুযোগ রয়েছে।’