ছোট্ট শীর্ষেন্দুকে দেওয়া কথা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে আলোচনায় উঠে আসা পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দুর স্বপ্নের সেতু অবশেষে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছবি: ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে আলোচনায় উঠে আসা পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দুর স্বপ্নের সেতু অবশেষে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ছবি: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লিখে আলোচনায় উঠে আসা পটুয়াখালীর চতুর্থ শ্রেণির স্কুল শিক্ষার্থী শীর্ষেন্দুর স্বপ্নের সেতু অবশেষে বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পটুয়াখালীর পায়রা নদীর ওপর এই সেতুর স্থান সমীক্ষা পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে সেতু বিভাগের প্রতিনিধি দল।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক হয়। সেখানে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর ওপর এক হাজার ৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কচুয়া-বেতাগী-পটুয়াখালী-লোহালিয়া-কালাইয়া সড়কের ১৭তম কিলোমিটারে পায়রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এখন এই স্বপ্নের সেতু চূড়ান্ত রূপ নিতে যাচ্ছে।

পটুয়াখালী সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শীর্ষেন্দু বিশ্বাস বাবা-মায়ের চাকরির সুবাদে পটুয়াখালী শহরে বসবাস করে। তাদের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের ছয়আনি গ্রামে। গ্রামের বাড়ি থেকে পটুয়াখালী জেলা শহরে যেতে জেলার মির্জাগঞ্জের পায়রা নদী পাড় হতে হয়। এ নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ। মানুষ ভয় পায়। তাই ওই নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে চিঠি লেখেন শীর্ষেন্দু।

প্রধানমন্ত্রীর পাল্টা চিঠিতে সেতু নির্মাণে ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন শীর্ষেন্দুকে। সেই চিঠি তার স্কুলে পৌঁছে ২০ সেপ্টেম্বর। ২৬ সেপ্টেম্বর সেই চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে শীর্ষেন্দুর হাতে তুলে দেয়। শুরু হয় শীর্ষেন্দুর স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া।

সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত সেতু হবে দুই লেন বিশিষ্ট। দৈর্ঘ্য মূল সেতু ১৩৭৫ মিটার এবং ডায়াডাক্ট উভয় প্রান্তে ৩৪১ দশমিক ৪৪ মিটার। সেতুর প্রস্থ ফুটপাতসহ ১০ দশমিক ৭৬ মিটার। ভার্টিক্যাল ক্লিয়ারেন্স (জাহাজ চলাচলে যে উচ্চতা রাখা) ১৮ দশমিক ৩০ মিটার (ক শ্রেণি বিবেচনায়) এবং হরিজেন্ট্যাল ক্লিয়ারেন্স (দুই স্প্যানের মধ্যবর্তী প্রশস্ততা) ৯০ মিটার।

সড়ক বিভাগ পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ মোহাম্মদ শামস মোকাদ্দেস বলেন, সেতুটি একনেকে অনুমোদন করা হয়েছে। সেতু বিভাগের মাধ্যমে এই সেতু নির্মিত হবে। ২০২৫ সালের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।