কানুনগো ও তহসিলদার নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে: ভূমিমন্ত্রী

ঢাকার নীলক্ষেতের ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (এলএটিসি) আজ এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী । ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার নীলক্ষেতের ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (এলএটিসি) আজ এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী । ছবি: সংগৃহীত

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, খুব শিগগিরই পিএসসির (বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন) মাধ্যমে নন-ক্যাডার কানুনগো ও তহসিলদার (ভূমি সহকারী কর্মকর্তা) নিয়োগ দেওয়া হবে।

আজ বুধবার সকালে ঢাকার নীলক্ষেতের ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (এলএটিসি) এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, পিএসসির মাধ্যমে এসব পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ার নীতিমালা তৈরির কাজ প্রায় শেষ। উচ্চ শিক্ষিত মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তারা ভূমি সেবায় গুণগত পরিবর্তন আনবে বলে তিনি মনে করেন।

উপস্থিত প্রশিক্ষণরত সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) (এসি ল্যান্ড) সিভিল সার্ভিস কর্মকর্তা হিসেবে সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের যত দিন আপনারা কাজ করবেন তার কর্ম কৃতি মূল্যায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে (বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়) পাঠানো হবে। সেসব মূল্যায়নে আপনাদের পরবর্তী পদায়ন, পদোন্নতি এবং পদ থেকে প্রত্যাহার করার ক্ষেত্রে বিবেচনার জন্য সুপারিশ থাকবে।

এসি ল্যান্ডদের নেতৃত্ব গুণাবলি দিয়ে নিজেদের কর্মস্থল ব্যবস্থাপনা করার পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, যাদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আপনাদেরকে সরকার নিয়োগ দিয়েছে তাদের কথা শুনে অন্ধভাবে সিদ্ধান্ত দেবেন না। প্রয়োজনে পরামর্শ নিলেও সিদ্ধান্ত প্রদান করার পূর্বে তা যাচাই করবেন কয়েক জায়গা হতে ।

মন্ত্রী বলেন, এসি ল্যান্ড হিসেবে আপনাদের সিদ্ধান্তে অনেক মানুষের পারিবারিক ও অর্থনৈতিক জীবনযাত্রায় প্রভাব পরে। সুতরাং মানুষের যেন হয়রানি না হয় তা সব সময় মনে রাখবেন।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্বে) ও অতিরিক্ত সচিব (অধিগ্রহণ ও সায়রাত) মো. সিরাজ উদ্দিন আহমেদ আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান বেগম উম্মুল হাছনা, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব (আইন) মো. মাসুদ করিম, ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক মো. আব্দুল হাই, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শওকত ঊল্ল্যাহ। এ ছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ প্রশিক্ষণে থাকা এসি ল্যান্ডরা উপস্থিত ছিলেন।

বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে প্রায় এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা কম ব্যয়ে ১২ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকায় (প্রায়) ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ৬ষ্ঠ তলা হতে ১২ তম তলা পর্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ কর্মকাণ্ড শেষ হয়। সকল ধরনের আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা সহ সম্প্রসারণের ফলে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে এলএটিসির প্রশিক্ষণ প্রদানের সক্ষমতা বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ১০০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আগে এ সংখ্যা ছিল ৩০।