হারিয়ে যাওয়া নারী চার বছর পর দেশে ফিরলেন

ঢাকায় হারিয়ে যাওয়ার চার বছর পর ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে দেশে ফিরেছেন এক নারী। বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরেন তিনি।

ওই নারীর নাম আমেনা বেগম (৫৫)। তিনি ঢাকার তেজগাঁও রেলগেট এলাকার মৌলভী মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী। আমেনা মানসিক প্রতিবন্ধী।

পরিবার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকার তেজগাঁও এলাকা থেকে ২০১৫ সালের আগস্ট মাসে হারিয়ে যান আমেনা বেগম। এরপর ২৪ আগস্ট ত্রিপুরার বিশালঘর থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। পরে তাঁকে সেখানকার নরসিংগর মডার্ন সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। ওই হাসপাতালেই তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়। দীর্ঘ চার বছর পর আজ বুধবার দুপুরে আমেনাকে আগরতলা ও আখাউড়া আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আনা হয়। মাকে ফেরত পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন মেয়ে মোমেনা বেগম। দীর্ঘদিন পর মেয়েকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন মা আমেনা। এ সময় আগরতলার বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব জাকির হোসেন ভূঁইয়া, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে স্বজনদের কাছে আমেনা বেগমকে তুলে দেন তাঁরা। স্বজনেরা গাড়িতে করে আমেনাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

ইউএনও তাহমিনা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন আগে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে একটি চিঠিতে ওই নারীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো বিষয়ে জানানো হয়। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিত আজ তাঁকে দেশে পাঠানো হয়। পরে ওই নারীকে তাঁর স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে কীভাবে ওই নারী আগরতলায় গেলেন সেটা জানা যায়নি।

আমেনার মেয়ে মোমেনা বেগম বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর আগে মা হারিয়ে যান। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। কীভাবে মা ভারতের আগরতলায় পৌঁছালেন, তা জানি না। কয়েক মাস আগে মায়ের খবর জানতে পারি। মাকে ফেরত পেতে সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবদুল হান্নান বলেন, গত বছর ওই হাসপাতাল থেকেই বাংলাদেশের এক নারীকে একই পথে দেশে আনা হয়। সে সময় সমাজকর্মী খায়রুল আলম মানসিক ভারসাম্যহীন আমেনা বেগমের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে আসেন। এরপর তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের অবহিত করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার স্বজনদের কাছে ওই নারীকে হস্তান্তর করা হয়।