করোনাভাইরাস: ভৈরবে আরও ৯ জন 'হোম কোয়ারেন্টাইনে'

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রমা সেন্টারে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট। ছবি: প্রথম আলো
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রমা সেন্টারে খোলা হয়েছে আইসোলেশন ইউনিট। ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আরও নয়জনকে ‘হোম কোয়ারেন্টাইনে’ রাখা হয়েছে। এই নিয়ে চার দিনে মোট ৪৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলো। হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা প্রত্যেকে সদ্য বিদেশ থেকে এসেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারও মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়নি।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যসচিব বুলবুল আহমেদ আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপজেলা করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্র জানায়, গত সোমবার থেকে প্রতিরোধ কমিটির বিশেষ নজরদারি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। ওই দিনই ১১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। গতকাল বিকেল পর্যন্ত এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৪। আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত সময়ে বেড়ে ৪৩ হয়। এর মধ্যে পাঁচজন নারী, বাকিরা পুরুষ। বেশির ভাগ ইতালি থেকে আসা। এ ছাড়া সৌদি আরব, কাতার, মালয়েশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা লোকজনও আছেন।

পৌর ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সহকারীরা হোম কোয়ারেন্টাইনের প্রধান পর্যবেক্ষক হিসেবে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। করোনা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক তাঁদের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ভৈরবে ৫০ শয্যার একটি আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া স্থানে নির্মাণাধীন ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়। আজ দুপুরের মধ্যে কিছু শয্যা পাতা হয়। ট্রমা সেন্টারে বিদ্যুৎ–সংযোগ ছিল না। প্রতিরোধ কমিটির ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো কাউকে আইসোলেশন কেন্দ্রে পাঠানো হয়নি। ভৈরবে বেসরকারি ক্লিনিকের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। প্রত্যেক ক্লিনিককে আইসোলেশন ইউনিট খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, ৪৩ জনের প্রত্যেকে এখন বাড়ির পৃথক কক্ষে রাখা হয়েছে। তাঁদের বাইরে যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ১৪ দিনের মধ্যে তাঁদের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত না হলে তাঁরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবেন। পরিবারের সদস্যদের চলাফেরা সীমিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সহকারীরা হোম কোয়ারেন্টাইনে যাওয়া প্রত্যেকের জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করছেন।