পঞ্চগড়ে পুরোহিত হত্যায় জঙ্গিনেতা রাজীব গান্ধীসহ ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার শ্রীশ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠের প্রধান পুরোহিত যজ্ঞেশ্বর রায়কে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল চারজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আজ রোববার বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিচারক অনুপ কুমার এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত চারজন হলেন জঙ্গি নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, রাজিবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন, আলমগীর হোসেন ও মো. রমজান আলী। এর মধ্যে রাজিবুল ইসলাম মোল্লা পলাতক আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রাজীব গান্ধীর বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা থানার পূর্বভুতমারা গ্রামে, রাজিবুল ইসলাম মোল্লার বাড়ি বগুড়ার শাহজাহানপুরের ক্ষুদ্র কুষ্টিয়া গ্রামে, আলমগীর হোসেনের বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের কামাতপাড়া গ্রামে ও রমজান আলীর বাড়ি একই উপজেলার প্রধানাবাদ মসজিদপাড়া গ্রামে।
আসামিরা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে পারবেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের অন্য আরেকটি ধারার পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেকটি ধারায় তাদের ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড; পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দেবীগঞ্জের সোনাপোতা গ্রামের শ্রীশ্রী সন্ত গৌড়ীয় মঠের অধ্যক্ষ যজ্ঞেশ্বর রায়কে গলা কেটে হত্যা করেন দুর্বৃত্তরা। এ সময় মঠের সেবায়েত গোপাল চন্দ্র দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হন। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত যজ্ঞেশ্বরের বড় ভাই রবীন্দ্রনাথ একটি হত্যা মামলা করেন। অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পুলিশের পক্ষে উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান আরেকটি মামলা করেন।
আদালত দেবীগঞ্জের খলিলুর রহমানকে খালাস দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এন্তাজুল হক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন হেলাল উদ্দিন ও শোয়েবুল আলম।