চট্টগ্রামের দুটি হাসপাতালে 'ফ্লু কর্নার'

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দুটি ‘ফ্লু কর্নার’ খোলা হয়েছে। সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে আসা রোগীদের প্রাথমিক সেবা এসব কর্নারে দেওয়া হবে। তাঁদের মধ্যে কারও যদি করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকে, তাহলে তাঁকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলার লক্ষ্য গঠিত কমিটির সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে মেয়রের দপ্তরে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সম্মেলনকক্ষে সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিফ করা হয়।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে প্রধান করে ১০ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) হাসান শাহরিয়ার কবির, জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী উল্লেখযোগ্য। কমিটির ফোকাল পারসন করা হয়েছে সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেলিম আকতার চৌধুরীকে।

সভায় জানানো হয়, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, রেলওয়ে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। রোগী পরিবহনের জন্য সিটি করপোরেশনের মেয়র একটি অ্যাম্বুলেন্স দিয়েছেন।

সাংবাদিকদের নাছির উদ্দীন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তির তথ্য স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করতে হবে। তাঁদের অবশ্যই কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এটি শুধু নিজের নিরাপত্তার জন্য নয়, পরিবার ও দেশের জন্য তা করা দরকার।

এখন পর্যন্ত কোনো করোনোভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি বলে সাংবাদিকদের জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির। প্রস্তুতির কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সর্দি–কাশি হলেই করোনাভাইরাস হবে, তা নয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই সময়ে অনেকেরই সর্দি–কাশি হয়। অবশ্য করোনা নিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রিগেডিয়ার এস এম হুমায়ুন কবির বলেন, বিদেশ থেকে আসা কিংবা তাঁদের স্বজনদের কারও সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যথা হলে নির্দিষ্ট একটি কক্ষে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে। সেখান ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক থাকবেন। তাঁদের জন্য পোশাকসহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁরা রোগীদের কথা শুনবেন। যদি কারও কোনো উপসর্গ থাকে, তাহলে তাঁকে আইইডিসিআরের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একেবারে আলাদাভাবে চিকিৎসা দেওয়ার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।