ফেনীতে আরও ৮৩ জন প্রবাসী হোম কোয়ারেন্টিনে

করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাস

ফেনীতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে আরও ৮৩ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৭০ জন বিদেশফেরত প্রবাসীকে হোম কোয়োরেন্টিনে রাখা হলো। তাঁদের সঙ্গে পরিবারের ৯৬১ জন সদস্যও কোয়োরেন্টিনে রয়েছেন। তবে এঁদের মধ্যে ছয়জন প্রবাসীর কোয়ারেন্টিন প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ফেনীর সিভিল সার্জন মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কোয়ারেন্টিনে থাকা লোকদের পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্যকর্মীরা। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত খোঁজ খবর নিচ্ছে।

চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম

ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা বলেন, শুক্রবার হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের নিরাপত্তা সরঞ্জামের একটি বাক্স এসে পৌঁছেছে। শনিবার সকালে কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে সেটা খোলা হবে। কী পরিমাণ নিরাপত্তা সরঞ্জাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো হয়েছে, সেটি বাক্স খোলার পর জানা যাবে। এদিকে সিভিল সার্জনের কার্যালয় জানায়, শুক্রবার পর্যন্ত ফেনীতে করোনা পরীক্ষার কিট পৌঁছেনি।

আইসোলেশন ইউনিট

ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের ৩০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়েছে। এ ছাড়া ফেনীর মহিপালে ট্রমা সেন্টারে ৩০ শয্যা, সোনাগাজীর বক্তারমুন্সিতে নতুন হাসপাতালে ২০ শয্যা, ফুলগাজীর যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ ছাত্রাবাসে ৫ শয্যাসহ মোট ১০৫ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে ভর্তি করা হয়নি। সর্দি, কাশি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ফ্লু কর্নার রাখা হয়েছে।

চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. ইকবাল হোসেন ভূঁঞা বলেন, ফ্লু কর্নারের জন্য হাসপাতালে আলাদা আউটডোর, আলাদা চিকিৎসক-নার্স রয়েছেন। ওইসব রোগী আলাদা লাইনে দাঁড়াবেন।

হাত ধোয়া

হাসপাতালে আসা সব রোগীর জন্য হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তাঁরা হাত ধুয়ে লাইনে দাঁড়াবেন, পরে চিকিৎসক দেখবেন।

উল্লেখ্য, জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রবাসফেরত বা স্থানীয় লোকের মধ্যে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায়নি।