ফিরে আসা প্রবাসীদের পাওয়া যাচ্ছে না ঠিকানায়

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জে ফিরে আসা প্রবাসীদের খুঁজে বের করতে হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পাঁচ হাজারের বেশি প্রবাসী নারায়ণগঞ্জে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন মাত্র ৭৩ জন। অনেকেই ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইতালি, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দুবাই, লন্ডন, জর্ডানসহ করোনায় আক্রান্ত বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা নারায়ণগঞ্জে এসেছেন। তাঁরা হোম কোয়ারেন্টিনে নেই। তালিকা অনুযায়ী তাঁদের অবস্থান ও ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।

জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, পাঁচ হাজারের বেশি প্রবাসী জেলায় ফেরত এসেছেন। মাত্র ৭৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে আনা গেছে। অধিকাংশই কোয়ারেন্টিনের বাইরে। তিনি বলেন, ‘আমরা উপজেলা কমিটিকে ফিরে আসা প্রবাসীদের তালিকা দিয়েছি। তারা ইউনিয়ন কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে। তবে তালিকা অনুযায়ী অধিকাংশের ঠিকানায় গিয়ে তাঁদের পাওয়া যাচ্ছে না।’
এখন শুধু প্রবাসী নয়, স্থানীয় লোকজন যাঁরা সর্দি, জ্বর ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদেরও হোম কোয়ারেন্টিনে আওতায় আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন সিভিল সার্জন।

ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রবাসফেরত প্রবাসীদের অবস্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ কাজে আমাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে। আমরা গ্রাম পুলিশ, ওয়ার্ড ইউপি সদস্য সবাই মাঠে নেমেছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ‘অনেক প্রবাসীর পাসপোর্টে নারায়ণগঞ্জের ঠিকানা রয়েছে। কিন্তু তিনি নারায়ণগঞ্জে না এসে হয়তো অন্য জেলায় থাকছেন। তাঁর ঠিকানা বা অবস্থান শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে এই বিপুলসংখ্যক প্রবাসী নিজ উদ্যোগে না এলে তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা অসম্ভব। তবু আমরা চেষ্টা করছি।’

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশের স্বার্থে, আমাদের পরিবার পরিজন ও আত্মীয়স্বজনদের স্বার্থে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রবাসীদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন এলাকায় প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়ে মাইকিং শুরু করেছি। স্থানীয় ওয়ার্ড পর্যায়ে কাজ করছি। যদি কোনো কারণে একজন প্রবাসীও হোম কোয়ারেন্টিন থেকে বাদ পড়ে যায়, তাহলে আমরা কেউ নিরাপদ নই। তাই সবাই সচেতন হতে হবে।’