সৌদিপ্রবাসী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শুনে পালাল ৩৮ রোগী

সৌদিপ্রবাসী এক অসুস্থ নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে শুনে হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছে ভর্তি থাকা ৩৮ রোগী। গতকাল শুক্রবার রাতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরা ওই নারীর (২৮) বাড়ি সদর উপজেলায়।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের একীভূত ভবনের চতুর্থ তলায় করোনাভাইরাস সন্দেহে ভর্তি রোগীদের জন্য ১০ শয্যার আইসোলেশন বা পৃথক ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হয়েছে।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, গতকাল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১০০ শয্যার বিপরীতে ১৩৪ জন রোগী (মেঝেতে পাতা শয্যাসহ) ভর্তি ছিল। এই সংখ্যক রোগী হাসপাতাল থেকে দেওয়া খাবার গ্রহণ করেছিল। তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে সৌদিপ্রবাসী একজন নারী অসুস্থ অবস্থায় ভর্তির জন্য আসছেন, এমন তথ্য পেয়ে আমরা আইসোলেশন ওয়ার্ডের শয্যা প্রস্তুত করছিলাম। এমন অবস্থায় রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ৩৮ জন রোগী কাউকে কিছু না বলে চলে যায়।’

এক প্রশ্নের জবাবে মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, ‘ধারণা করছি, সৌদিপ্রবাসী রোগী ভর্তির কথা শুনে ওই ভর্তি রোগীরা পালিয়ে গেছে। যদিও শেষ পর্যন্ত জানা গেছে, ওই নারীর হোম কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে। তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।’ তিনি আরও জানান, এলাকাবাসী ফোন করে ভুল তথ্য দিয়ে এই বিপত্তি ঘটিয়েছেন।

লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিরাজুল ইসলাম এবং লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় ভর্তি হওয়া ৩৮ রোগীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন। এতসংখ্যক রোগী একসঙ্গে এভাবে চলে যাওয়াকে নজিরবিহীন ঘটনা বলে তাঁরা মন্তব্য করেছেন।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য লালমনিরহাট সরকারি কলেজের মহিলা হোস্টেলে ৬৪ জন এবং লালমনিরহাট সরকারি নার্সিং কলেজে ১২ জনের চিকিৎসা সেবার প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। জেলায় এখন হোম কোয়ারেন্টিনে ৭২ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে একজন রয়েছেন।