করোনা সংক্রমণ রোধ: সিলেট নগরে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক

সিলেট
সিলেট

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সিলেট নগর জুড়ে ছিটানো হচ্ছে জীবাণুনাশক। সিলেট সিটি করপোরেশন গত শনিবার রাতে পরীক্ষামূলক ভাবে তরল জীবাণুনাশক ছিটানোর উদ্যোগ নেয়। রোববারও এ কার্যক্রম চালায় সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। 

জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রমের তদারকি করছেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম।
সিলেট সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে নগরের দরগাহ গেট এলাকায় পরীক্ষামূলক ভাবে জীবাণুনাশক ছিটানোর কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম দিনে তিন হাজার লিটার জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। রোববার আট হাজার লিটার জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। সিটি করপোরেশনের পানিবাহী গাড়িতে করে এসব জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।
রাতে গাড়িতে করে ছিটানোর পর দিনেরও বেলায়ও কাঁধে ঝোলানোর মেশিন দিয়ে ছিটানো হয়। বাজারগুলোতেও ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হচ্ছে।
জানা গেছে, সিটি করপোরেশন নিজেরাই প্রস্তুত করছে এসব জীবাণুনাশক। দুই হাজার লিটার পানির সঙ্গে ২৫ কেজি ব্লিচিং পাউডার ও ১০ কেজি ফিনাইল মিশিয়ে জীবাণুনাশক তৈরি করা হয়। পরে সেগুলো নগরের বিভিন্ন সড়ক, বিপণি বিতান, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ফুটপাত, অফিস-আদালত প্রাঙ্গণ ও জনসমাগম স্থলগুলোতে ছিটানো হয়।
রোববার রাতে সিলেট নগরের চৌহাট্টা-কুমারপাড়া মোড়, নয়াসড়ক মোড় থেকে শাহী ঈদগাহ এবং নয়াসড়ক থেকে জিন্দাবাজার এলাকায় তিনটি গাড়িতে করে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়েছে। এ ছাড়া সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা এবং শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল এলাকায়ও জীবাণুনাশক ছিটানো হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, শনিবার রাতে পরীক্ষামূলক ভাবে তিন হাজার লিটার জীবাণুনাশক তৈরি করে ছিটানো হয়েছিল। রোববার রাতে আট হাজার লিটার ছিটানো হয়েছে। ব্লিচিং পাউডারের সঙ্গে ফিনাইল পানির সঙ্গে মিশিয়ে ছিটানো হচ্ছে। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। নগরের সব এলাকায় এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। প্রতি রাতেই গাড়িতে করে জীবাণুনাশক ছিটানোর এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।