রাজশাহীতে আরও দুটি হাসপাতাল হচ্ছে আইসোলেশন ইউনিট

রাজশাহীতে আইসোলেশন ইউনিট হিসেবে দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধীনে ন্যস্ত করা হয়েছে। হাসপাতাল দুটি হচ্ছে নগরের লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত সিডিএম হাসপাতাল ও রাজশাহীর মতিহার থানাধীন মাসকাটাদিঘি এলাকায় অবস্থিত ক্যানসার হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টার ট্রাস্ট।

এর আগে রাজশাহী বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও রাজশাহী কুষ্ঠ নিরাময় কেন্দ্র এই উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করা হয়।

আজ মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠান দুটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে রাজশাহী জেলা প্রশাসক চিঠি দিয়েছেন। চিঠিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (সন্দেহভাজন) ব্যক্তিদের হাসপাতালে রেখে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য হাসপাতাল দুটির সব কেবিন ও ওয়ার্ড সাময়িকভাবে ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে তাঁর অধীনে পরিচালিত রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের অধীনে ন্যস্ত করার অনুরোধ করা হয়েছে। বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনার জন্য বলা হয়েছে।

সিডিএম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোয়েল চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসপাতালে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তবে এই ভাইরাস মোকাবিলায় তাঁদের চিকিৎসক দল প্রস্তুত নেই। সরকারকেই চিকিৎসক দিতে হবে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, সিডিএম হাসপাতালে ৬০টি শয্যার ব্যবস্থা করতে পারবেন। ক্যানসার হাসপাতালে এই মুহূর্তে ২০টি শয্যা রয়েছে। সেটিকেও পরে ৬০ শয্যায় উন্নীত করা যাবে।

এর আগে ৩০ শয্যার রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও ১০ শয্যার কুষ্ঠ নিরাময় কেন্দ্রকে প্রস্তুত করা হয়েছে। সেখানে কর্মরত তিনজন চিকিৎসকের মধ্যে বর্তমানে দুজন রয়েছেন। সেখানে সাতজন নার্স দেওয়া হয়েছে। কোনো রোগী না পাওয়ার কারণে ওয়ার্ডগুলোতে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে আইসোলেশন ইউনিটের চিকিৎসক ও নার্সদের সুরক্ষা পোশাক ও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবে সেখানে ভেন্টিলেটর নেই, আইসিইউ নেই, সেন্ট্রাল অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই, কিটের সরবরাহ নেই। তবে অক্সিজেনের সিলিন্ডার রয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) গোপেন আচার্য্য বলেন, এই হাসপাতালগুলোর মধ্যে সিডিএম হাসপাতালে ছয়টি আইসিইউ বেড রয়েছে। এর মাধ্যমে সংকটাপন্ন রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যাবে।