চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ভারত জুড়ে লকডাউন শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জনশূন্য ও নীরব-নিস্তব্ধ  কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর স্থল শুল্ক বন্দর। ছবি: প্রথম আলো
ভারত জুড়ে লকডাউন শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় জনশূন্য ও নীরব-নিস্তব্ধ কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়নের চাতলাপুর স্থল শুল্ক বন্দর। ছবি: প্রথম আলো

করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারতে সরকারিভাবে রোববার (২২ মার্চ) সারা দেশে ভোর থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জনতার কারফিউ ছিল। ফলে এক দিনের জন্য অন্যান্য স্থল শুল্ক স্টেশন ও স্থল বন্দরের মতো মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে রোববার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এবার মঙ্গলবার বিকেল থেকে ভারত জুড়ে সরকারিভাবে লকডাউন শুরু হলে আবারও পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে মঙ্গলবার বেলা ২টা পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। বেলা ২টার মধ্যে স্থল শুল্ক স্টেশনে থাকা পরিবহন থেকে পণ্য খালাস করে সবগুলো ট্রাক ও কার্গোকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে চাতলাপুর স্থল শুল্ক ও অভিবাসন কেন্দ্র এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত যেখানে আমদানি ও রপ্তানি পণ্য খালাসে কর্ম চঞ্চল ছিল শুল্ক স্টেশন এলাকা, সেখানে আজ বুধবার নেই কোনো মানুষজন ও পণ্যবাহী যানবাহন। একই চিত্র দেখা গেছে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের ওপারে ভারতের ত্রিপুরার মনু স্থল শুল্ক স্টেশন এলাকায়। চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিজ দায়িত্ব পালন করতে ও সীমান্ত নিরাপত্তায় বিজিবি সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের ব্যবসায়ী সোহেল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম, কাজী বদরুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যেই চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে কমলা, আঙুর ও আনারসহ ভারতীয় ফল বাংলাদেশে এসেছে। আর বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির সিমেন্ট, বিভিন্ন কোম্পানির প্লাস্টিক সামগ্রী ভারতে রপ্তানি হয়েছে। তবে ভারতে জনতার কারফিউর একদিন পর এখন ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এ কারণে মঙ্গলবার বিকেল থেকে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

চাতলাপুর অভিবাসন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক জামাল হোসেন বলেন, এ পথে এখন ভারতে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এ পথে যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকছে।