সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে দেয়াল ধসে সাত মাসের শিশু নিহত

বিস্ফোরণে নিহত শিশু ইয়াসিন আহাম্মদ
বিস্ফোরণে নিহত শিশু ইয়াসিন আহাম্মদ

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইলে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণের পর একটি দোতলা বাড়ির দেয়ালধসে সাত মাস বয়সী এক শিশু নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন শিশুটির মা–বাবাসহ আরও দুই ভাইবোন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের বাবুরাইল তাঁতীপাড়া এলাকার বাসিন্দা হাজি বাদশা মিয়ার দোতলা বাড়ির নিচতলায় বালু ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে পরিবার সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। এক ঘরে তোফাজ্জল হোসেন ও তাঁর পাশের ঘরে স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম (৩৫) ও তাঁর তিন সন্তান হালিমা (১১), মোহাম্মদ হোসেন (১০) ও শিশু ইয়াসিন আহাম্মদকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে বিকট শব্দে ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে তাঁদের ঘরের দেয়াল ধসে পড়ে। দেয়ালচাপা পড়ে পরিবারের পাঁচজনই গুরুতর আহত হন। ঘরের আসবাবসহ মালামাল ভেঙে যায়।

আশপাশের লোকজন তাঁদের গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের মণ্ডলপাড়া ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা শিশু আহাম্মদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত চারজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফেরদৌসী বেগম ও তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকার সড়কের নিচে গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ (ফুটো) থেকে তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে গ্যাস জমে এই বিস্ফোরণ হয়েছে। পাশেই ৫০ গজ দূরে আজ সকালে আরও একটি নির্মাণাধীন বাড়ির সেপটিকে বিস্ফোরণ হয়। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে এক শিশু নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন চারজন। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, সেপটিক ট্যাংকটি ওই বাড়ির নিচতলার একটি রুমের নিচে। ওই সেপটিক ট্যাংকের ভেতর দিয়ে গ্যাসের পাইপলাইনের সংযোগ গিয়েছে। জমে থাকা গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।