খুলনায় মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এই তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) ও ‘কোভিড-১৯’ ম্যানেজমেন্টের ফোকাল পারসনের দায়িত্বে থাকা শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, এখনো লিখিত প্রতিবেদন পাননি। মৌখিকভাবে জেনেছেন। শুক্রবার রাতেই ইমেইলে লিখিত প্রতিবেদন পাবেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ব্যক্তি মারা যান। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে সন্দেহ ছিল হাসপাতালের চিকিৎসকদের।

ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত না হওয়ায় অনেকটা বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনেক চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারী। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর হাসপাতালের ১৫ জন চিকিৎসক-নার্স এবং চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে চলে যান। শুক্রবার প্রতিবেদন জানার পর তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের ‘কোভিড-১৯’ ম্যানেজমেন্টের ফোকাল পারসন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি খুলনা নগরের বাসিন্দা। সম্প্রতি ঢাকার একটি হাসপাতালে তাঁর থাইরয়েড সার্জারি করা হয়েছিল। ওই হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত একজন রোগী সম্প্রতি মারা যান। সেখানকার একজন চিকিৎসকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। খুলনায় এসে মারা যাওয়া ব্যক্তিটি সেখানে চিকিৎসা নেওয়ার পর সম্প্রতি এলাকায় ফেরেন। ঢাকার ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর তাঁকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা মানেননি। তথ্য গোপন করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি-২ ওয়ার্ডে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এরপর দুপুরে তিনি মারা যান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়।