ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে

মো. শাহরিয়ার আলম। ফাইল ছবি
মো. শাহরিয়ার আলম। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৪ মার্চ সারা দেশে ২১ দিনের অবরোধ বা লকডাউন ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভারতে আটকে পড়েছেন কয়েক শ বাংলাদেশি। তাঁদের সেখানে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে। দেশে ফেরার ক্ষেত্রে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকায় ফেরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম গতকাল রোববার তাঁর ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ভারতে চিকিৎসা নিতে গিয়ে আটকে পড়া বাংলাদেশের লোকজনের তালিকা করছে বাংলাদেশ হাইকমিশন। দেশে ফিরতে আগ্রহী যেসব বাংলাদেশি এখনো হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, তিনি তাঁদের হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন।

ভারত থেকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউন থাকায় ভারতে আসা-যাওয়া পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। যেহেতু চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশের অন্তত ৫০০ থেকে ৬০০ নাগরিক কর্ণাটক, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, কলকাতাসহ বেশ কিছু জায়গায় আটকা পড়েছেন, তাই হাইকমিশনের হটলাইনে উল্লেখিত সংখ্যক বাংলাদেশি যোগাযোগ করে দেশে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এখন পর্যন্ত চেন্নাইতে আড়াই থেকে তিন শ বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন। তাই চেন্নাই থেকে বাংলাদেশিদের প্রথম দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

ভারত থেকে বাংলাদেশিদের ফেরানোর বিষয়ে মো. শাহরিয়ার আলম ফেসবুক পেজে গতকাল লিখেছেন, ‘ভারতে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ। আমরা শুনতে পাচ্ছি চিকিৎসা নিতে গিয়ে সেখানে কিছু বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন এবং তাঁদের থাকতে অসুবিধা হচ্ছে। আমাদের দূতাবাস ইতিমধ্যে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছে। যাঁরা এখনো যোগাযোগ করেননি, আপনারা একসঙ্গে কতজন, কোথায় আছেন, নাম, বয়স, পাসপোর্ট নম্বর, যোগাযোগের জন্য মুঠোফোন নম্বর আমাদের দিল্লিতে অবস্থিত দূতাবাসে জানান। আমাদের দিল্লিতে দূতাবাসের টেলিফোন নম্বর ৮৫৯৫৫-৫২৪৯৪ (অথবা মুম্বাই কনস্যুলেট ৯৮৩৩১-৫৯৯৩০)।’

শাহরিয়ার আলম লিখেছেন, ‘পূর্ণ তালিকা পেলে আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে। আপনাদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে না পারা পর্যন্ত অন্তত আমরা চেষ্টা করব স্থানীয় কর্তৃপক্ষ যেন আপনাদের চাহিদার বিষয়গুলো দেখভাল করে। আর যাঁরা ফিরে আসতে চান, তাঁদের আশকোনা হজ ক্যাম্পে এবং যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁরা কুর্মিটোলা বা অন্য হাসপাতালে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকার সম্মতি দিতে হবে।’