যুবকের লাশ উদ্ধার, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ছাত্রলীগের নেতা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গতকাল রোববার হাসানুর রহমান (৩৫) নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের একজন নেতাসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

হাসানুর রহমান একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে গাইবান্ধায় কাজ করতেন। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ফুলমতি গ্রামের নজির হোসেনের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক হওয়া ছাত্রলীগ নেতার নাম মাইদুল ইসলাম। তিনি বাড়িটির মালিক মহসিন মিয়ার ছেলে ও সুন্দরগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ।

পুলিশ জানায়, হাসানুর এক মাস আগে উপজেলা শহরের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসংলগ্ন ওই বাসায় ভাড়াটে হিসেবে ওঠেন। চাকরির কাজে প্রতিদিনই সকালে হাসানুর ঘুম থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে যান। কিন্তু গতকাল রোববার দুপুর পর্যন্ত ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। ফলে আশপাশের লোকজন বাইরে থেকে তাঁকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ মেলেনি। ফলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে হাসানুরের লাশ পায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মোট চারজনকে আটক করে নিয়ে যায়। ছাত্রলীগের নেতা মাইদুল ইসলাম ছাড়া অপর তিনজন ওই বাড়িতে ভাড়াটে হিসেবে থাকেন।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন, অল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।