জার্মানিতে ১০ বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত

জার্মানির পতাকা। ছবি: এএফপি
জার্মানির পতাকা। ছবি: এএফপি

জার্মানিতে অন্তত ১০ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তথ্যটি জানিয়েছে রাজধানী বার্লিনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের পক্ষ থেকে জার্মানিতে অবস্থানরত সব বাংলাদেশিকে সাবধানে ও নিরাপদে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বার্লিনে বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা রয়েছে।

এই মুহূর্তে জার্মানিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৬২ হাজার ৪৩৫। আর মারা গেছে ৫৪১ জন।

গতকাল রোববার জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মোট ১০ জন বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁরা হাসপাতালে অবস্থান করছেন। এঁদের মধ্য একজন নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য থেকে বার্লিনে তাঁর বন্ধুর কাছে বেড়াতে এসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। বন্ধুর পরিবারের সদস্যরা এখন চিকিৎসকদের নজরদারিতে রয়েছেন।

নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যের ক্রেফেল্ড শহরেও একটি বাঙালি পরিবারের চার সদস্য হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জার্মানির ১৬টি রাজ্যের মধ্যে নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই একই রাজ্যের ক্রেফেল্ডে একজন বাংলাদেশি পুরুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আপাতত হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে বার্লিন ও ক্রেফেল্ডে দুই বাংলাদেশি আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

এর আগে ব্যাভেরিয়া রাজ্যের মিউনিখে ৩ ও বার্লিনে এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বার্লিনে ও মিউনিখে দুই বাংলাদেশি নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকলেও তারা এখন শঙ্কামুক্ত।

প্রবাসীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন, কোনো বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তা যেন বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানানো হয়।

এই কঠিন সময়ে সংহতির নিদর্শনস্বরূপ জার্মানি বেশ কিছু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য ইতালি ও ফ্রান্স থেকে নিয়ে আসছে। কয়েক দিন ধরে বিশেষ বিমানে করে তাঁদের জার্মানির বিভিন্ন শহরে আনা হচ্ছে।

রাজধানী বার্লিনের মেয়র মিশায়েল মুলার জানিয়েছেন, গত শনি ও রোববার তিনটি বিশেষ বিমানে ফ্রান্সের স্টাসবুর্গ শহর থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য বার্লিনে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর জনগণের প্রতি সহানুভূতি ও সহমর্মিতা দেখানোর এখনই প্রকৃত সময়। তিনি ইতালি থেকেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের বার্লিনে আনবেন বলে জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে ইতালি থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মিউনিখ, কোলন, হামবুর্গে আনা হয়েছে।

জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এক বিবৃতিতে এই সংকটকালে সবাইকে ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করেছেন। চ্যান্সেলর অফিসের একজন মুখপাত্র হেলগে ব্রাউন জানিয়েছেন, আগামী ২০ এপ্রিলের আগে জার্মানিতে লকডাউন-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করবার কোনো সম্ভাবনা নেই।