ফোন করলেই পণ্য নিয়ে হাজির পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকেরা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দরকার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। সেটা নিশ্চিত করতে হাটবাজারও এখন বন্ধ। এ অবস্থায় মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা পূরণে নাটোরের সিংড়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষ চালু করেছে ‘হোম সার্ভিস’। হটলাইনে ফোন করে লোকজন প্রয়োজনীয় জিনিসের কথা জানাচ্ছেন। তা কিনে গাড়িতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকেরা। সংকটের এই সময়ে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ গৃহবন্দী শহরবাসীর মধ্যে স্বস্তি এনেছে।

সিংড়া পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শহরবাসীকে ঘরে থাকার জন্য বারবার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। এ জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিতরণ ও মাইকিং করা হয়েছে। এরপরও লোকজন জরুরি পণ্য সংগ্রহের কথা বলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন। এতে অনেক সময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। বিষয়টি নিয়ে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সাংসদ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদের পরামর্শ চেয়েছিল। তাঁর পরামর্শে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে শহরবাসীর জন্য এই ‘হোম সার্ভিস’ চালু করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি মাইকিং করে শহরবাসীকে জানানো হচ্ছে। এই সেবা পাওয়ার জন্য একটি হটলাইন নম্বর (০১৭০৭০০১১২২) দেওয়া হয়েছে। সেবাপ্রত্যাশী যেকেউ এই নম্বরে ফোন করে তাঁর প্রয়োজনীয় পণ্যের কথা জানাতে পারছেন। এরপর পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবীরা নির্ধারিত মূল্যে সেই পণ্য কিনছেন। পরে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গাড়িতে করে পণ্য সেবাপ্রত্যাশীর বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছেন। সেবাগ্রহীতা রসিদ দেখে মূল্য পরিশোধ করে পণ্য সংগ্রহ করছেন। এ কারণে তাঁকে আর ঘর থেকে বের হতে হচ্ছে না।

পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কিছুদিন আগে শহরবাসীর জন্য ‘চলো’ নামে কিছু বিশেষ পরিবহন (ব্যাটারিচালিত রিকশা) চালু করা হয়েছিল। ওই পরিবহনসেবাকে সংকটের এই সময়ে ‘হোম সার্ভিস’ বাস্তবায়নের কাজে লাগানো হচ্ছে। পৌরসভার স্বেচ্ছাসেবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারেও বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে।