নালিতাবাড়ীতে মারা যাওয়া ব্যক্তি 'করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না'

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তি (৫৫) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন না বলে আইইডিসিআর জানিয়েছে। আইইডিসিআরের প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির করোনা আক্রান্তের কোনো আলামত না পাওয়ায় আজ বুধবার থেকে ওই বাড়িসহ ১০ বাড়ির হোম কোয়ারেন্টিন তুলে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি গত রোববার রাতে নিজ বাড়িতে শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় করোনার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গত সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফুর রহমান শেরপুরের সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুল রউফকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যান। তখন মৃত ব্যক্তির শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। করোনা সংক্রমণের মতো উপসর্গ নিয়ে আবদুল আওয়ালের মৃত্যু হওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুরক্ষার কথা ভেবে ওই বাড়ি ও আশপাশের ১০ বাড়ির লোকজনকে আইইডিসিআরের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত হোম কোয়ারেন্টিনে (বাড়িতে সঙ্গনিরোধ) থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

আজ বুধবার আইইডিসিআরের প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আলামত পাওয়া যায়নি। তাই আজ থেকে ওই বাড়ি ও আরও ১০টি আড়ির লোকজনের ওপর থেকে হোম কোয়ারেন্টিন তুলে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ওই ব্যক্তির স্ত্রী জানান, তিনি দিনমজুরি করতেন। ১৫ দিন আগে তিনি এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় সেতুর পাইলিংয়ের শ্রমিক হিসেবে কাজে যান। গত বৃহস্পতিবার সরকারি নির্দেশে সরকারি–বেসরকারি অফিস-আদালত ও সব ধরনের গণজমায়েত বন্ধ হলে সে দিনই অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। অসুস্থতার বিষয়টি তিনি কাউকে না জানিয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ রোববার রাতে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় বিষয়টি নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। তাঁর স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামীর কোনো জ্বর, সর্দি ছিল না। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

শেরপুর সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুল রউফ প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। আইইডিসিআরের প্রতিবেদনে ফল নেগেটিভ এসেছে।

ইউএনও আরিফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে তাঁর বাড়ি ও আশপাশের ১০ বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ ছিল। প্রতিবেদন নেগেটিভ আসায় আজ (বুধবার) থেকে ওই বাড়িসহ ১০ বাড়ির কোয়ারেন্টিন তুলে নেওয়া হয়েছে।